কাশ্মীরের জ্যেষ্ঠ নেতারা গৃহবন্দি, সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা

বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর উপত্যকায় অতিরিক্ত ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েনের পর জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষ নেতাদের গৃহবন্দি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2019, 03:54 AM
Updated : 5 August 2019, 04:16 PM

যাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে তাদের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিও রয়েছেন। রোববার রাত থেকে তাদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে ভারতীয় গণামধ্যমগুলোর খবর।

বিবিসি জানিয়েছে, বিজেপিবিরোধী হিসেবে পরিচিত ওই নেতাদের গৃহবন্দি করার পাশাপাশি সব ধরনের সভা, সমাবেশ ও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বহু জায়গায় ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।

গত সপ্তাহে ‘জঙ্গি হামলার’ হুমকির কথা জানিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে থাকা হিন্দু তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের তাৎক্ষণিকভাবে রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় সরকার।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কেন এভাবে নিরাপত্তা জোরদার করছে, তা নিয়ে তখন থেকেই জল্পনা কল্পনা চলছিল।

আনন্দবাজার লিখেছে, জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশকে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন থাকলেও সরকার তা স্বীকার করেনি।

তবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে বিএসএফকে থানা পাহারা দিতে দেখা গেছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার এসব পদক্ষেপের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা এখনও দেয়নি।  ফলে জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। কেবল জম্মু ও কাশ্মীর নয়, পুরো ভারতজুড়েই জল্পনা ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ছে।

জম্মু ও কাশ্মীরের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর ধারণা, ভারতীয় সংবিধানে কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি। ওই বিধান অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরে বাইরের কেউ জমি কিনতে পারে না।

এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই রোববার কাশ্মীরের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা মেহবুবার বাড়িতে বৈঠক করেন। কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা খর্ব করার চেষ্টা হলে তা প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত হয় সেখানে।

এরপর রাতেই তাদের কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার এবং কাউকে কাউকে গৃহবন্দি করা হয় বলে আনন্দবাজারের খবর।