রোববার নিজেই টুইটারে পদত্যাগপত্রের ছবি পোস্ট করেছেন সাবেক এ ক্রিকেটার ও রাজনীতিক। গত ১০ জুনের এ পদত্যাগপত্রে সিধু লিখেছেন, “আমি পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছি।”
অন্য এক টুইটে তিনি লেখেন, “আমি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার পদত্যাগপত্র পাঠাচ্ছি।” এনডিটিভি জানায়, গত মাসে পাঞ্জাবের মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর সিধু তার নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেননি। এ নিয়ে কানাঘুষার মধ্যে রোববার তিনি পদত্যাগের কথা জানালেন।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে খোলাখুলি বিরোধে জড়িয়ে পড়ার পর মন্ত্রিসভায় রদবদল করে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় থেকে সিধুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দিল্লিতে কংগ্রেসের বিদায়ী সভাপতি রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সিধু।
টুইটারে ওই বৈঠকের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি নিচে লিখেছিলেন, “কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে দেখা করে আমার চিঠি তার হাতে তুলে দিয়েছি। চিঠিতে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করেছি।”
গত ৬ জুন মন্ত্রিসভায় রদবদল করে সিধুর কাছ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কেড়ে নেওয়া হয় এবং তাকে বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এমনকি সিধুর কাছ থেকে পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও কেড়ে নেওয়া হয়।
সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে দেশজুড়ে ভরাডুবি হয়েছে ভারতের শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেসের। সেই তুলনায় পাঞ্জাবে দলটির অবস্থান অপেক্ষাকৃত ভাল ছিল। লোকসভায় পাঞ্জাবের ১৩ আসনের মধ্যে ৮টিতে জেতে কংগ্রেস।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রভাবশালী নেতা সিধুর খোলাখুলি বিরোধ সেখানেও কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। সিধুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর লোকসভা নির্বাচনে অমৃতসর থেকে তার স্ত্রী নভজ্যোত করকে প্রার্থী হতে বাধা দিয়েছেন।
অন্যদিকে, গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন পাঞ্জাবের শহুরে আসনগুলোতে কংগ্রেসের খারাপ ফলের জন্য সিধুর অদক্ষতাকে দায়ী করেছিলেন অমরিন্দর।