রাজ্যটির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির নির্দেশে মঙ্গলবার রাত থেকে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
নাইডুর বানানো এ ‘প্রজা ভেদিকা’ ভবনটিকে ‘অবৈধ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন রেড্ডি। বলেছেন, এ ধরনের সব স্থাপনাই ভেঙে ফেলা হবে।
‘প্রজা ভেদিকা’ ভবনের পর নাইডুর বাসভবনও ভেঙে ফেলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন রেড্ডি সরকারের এক মন্ত্রী।
ছুটিতে ইউরোপে থাকা নাইডু মঙ্গলবার অন্ধ্রে ফিরে এসে আট কোটি রুপে ব্যয়ে নির্মিত হলটি ভাঙার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সরকারি সম্পদ ভেঙে ফেলা বোকামি বলেও মন্তব্য করেছেন সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রী।
জগন মোহন রেড্ডি তার বাবা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজাশেখরা রেড্ডির ভাস্কর্যগুলোও ভাঙবেন কি না- তাও জানতে চেয়েছেন তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) নেতা নাইডু।
“অনেক ভাস্কর্যের ই অনুমোদন নেই; এবং সেগুলো অননুমোদিত ভূমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে,” ওয়াইএস রেড্ডির ভাস্কর্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন তিনি।
‘প্রজা ভেদিকা’ হলটিকে রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতাকে দিতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডির কাছে অনুরোধও জানিয়েছিলেন নাইডু।
ওই হল থেকে বিরোধীদলীয় প্রধান হিসেবে কর্মকাণ্ড চালাতে চেয়েছিলেন এ টিডিপি প্রধান।
“আইনপ্রণেতা, দর্শণার্থী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে দেখা করা ও আমার দায়িত্ব চালিয়ে নিতে প্রজা ভেদিকাকে বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবনের সংযোজিত অংশ ঘোষণা করা হলে, আমি আগের বিন্যাসেই কাজ কাজ করে যেতে পারতাম,” মুখ্যমন্ত্রীকে এমনটাই লিখেছিলেন নাইডু।
অন্ধ্রের রাজধানী অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিআরডিএ) ২০১৭ সালে ওই ‘প্রজা ভেদিকা’ হলটি নির্মাণ করে। প্রথমে এর ব্যয় ৫ কোটি রুপি ধরা হলেও পরে বেড়ে ৮ কোটি রুপিতে দাঁড়ায়।
ভবনটি ভেঙে ফেলা ঠেকাতে মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্র হাইকোর্টে করা একটি আবেদন খারিজ হয়ে গেলে এবং আদালত এ বিষয়ক শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতুবী করলে রেড্ডি সরকার ‘প্রজা ভেদিকা’ গুড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু করে।
টিডিপি এ ভবন ভাঙার সিদ্ধান্তকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে।
এপ্রিলের বিধানসভা নির্বাচনে রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস বিপুল ভোটে নাইডুর টিডিপিকে হটিয়ে অন্ধ্রের ক্ষমতায় বসে।
লোকসভা নির্বাচনেও তারা রাজ্যের ২৫টির মধ্যে ২২টি আসনে জয়ী হয়। এর মাধ্যমে ওয়াইএসআর কংগ্রেস ভারতীয় লোকসভার চতুর্থ বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তাদের আগে আছে কেবল ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), কংগ্রেস ও তামিল নাডুর দ্রাবিডা মুনেত্রা কাজাঘাম (ডিএমকে) ।