ভারতজুড়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

পশ্চিম বঙ্গের ধর্মঘটী চিকিৎসকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ভারতজুড়ে একদিনের কর্মবিরতির পালন করছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2019, 06:54 AM
Updated : 17 June 2019, 06:57 AM

গত সপ্তাহে কলকাতার নীলরতন সরকারি মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে মারা যাওয়ার এক রোগী স্বজনদের হামলায় এক চিকিৎসক আহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আইএমএ এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

ভারতজুড়ে ডাকা এই কর্মবিরতির কারণে দেশব্যাপী চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আইএমএ জানিয়েছে, কর্মবিরতি চলাকালে চিকিৎসকরা হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোম ও ডায়গনোস্টিক সেন্টারে বহির্বিভাগের সেবা ও পূর্বনির্ধারিত অস্ত্রোপচার থেকে বিরত থাকবে।

তবে এ সময় জরুরি বিভাগের সব সেবা অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।

এর আগে পশ্চিম বঙ্গের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনায় বসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করলেও রোববার অনড় অবস্থান থেকে সরে আসেন তারা।

ছয় দিন ধরে টানা ধর্মঘটের পর ওই চিকিৎসকরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হন। আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তাদের স্থানীয় সময় ৩টায় তার কার্যালয় নবান্নে যেতে বলেছেন।

আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি বলেছেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসে যত দ্রুত সম্ভব এ অবস্থার অবসান চাই। তবে ওই আলোচনা স্বচ্ছ হতে হবে, রুদ্ধদ্বার নয়। সব কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে হতে হবে।”

তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও তাদের এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গণমাধ্যমের উপস্থিতি মানা না হলে বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, আন্দোলনকারীরা তা নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা চালিয়েছেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটির রাজধানী নয়া দিল্লিতে আরেক চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে।

রোববার দুপুরে ভারতের শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল ইনিস্টিটিউট এআইআইএমএসের এক আবাসিক চিকিৎসককে এক রোগীর স্বজনরা মারধর করেছেন বলে গণমাধ্যমের খবর।

এক বিবৃতিতে এআইআইএমএসের জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাদের এক সহকর্মীকে রোববার দুপুরে লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুর থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবে তারা। তবে এ সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ও জরুরি বিভাগের সেবা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।