মোদীর শপথে যাচ্ছেন মমতা

দ্বিতীয় মেয়াদের ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2019, 05:28 AM
Updated : 29 May 2019, 05:49 AM

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণাকালে মোদীর সঙ্গে মমতার তীব্র কথার লড়াই হয়েছিল। এ লড়াইয়ে কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেননি। কিন্তু নির্বাচন শেষে বিপুল বিজয় নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করার কালে সেসব পেছনে ছেড়ে আসছেন গণতান্ত্রিক দেশটির নেতারা।  

নির্বাচনের পর দিল্লিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের নির্বাচিত লোকসভা সদস্যদের প্রথম বৈঠকে মোদী জানিয়েছিলেন, প্রচারে কে কী বলেছিলেন, সেগুলো মনে না রেখে সবাইকে নিয়ে উন্নয়নের পথে হাঁটতে চান তিনি।

মোদীর ওই আহ্বানের প্রতি সৌজন্য দেখিয়ে ও রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার রাজধানী দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই প্রয়োজনীয় কাজ করতে হবে, সে কারণে আনুষ্ঠানিক সৌজন্য রক্ষা করা মমতার উচিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আনন্দবাজারের দেওয়া উদ্ধৃতিতে এ প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, “সংবিধানে কয়েকটি আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ যখন পাই, যাওয়ার চেষ্টা করি। এটা সাংবিধানিক সৌজন্য।” 

বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথ নেওয়ার কথা আছে।

ওই শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র মঙ্গলবার দিল্লিতে পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনারে কাছে পৌঁছেছে। 

জানা গেছে, আমন্ত্রণ গ্রহণ করার আগে মমতা ভারতের বেশ কয়েকজন প্রবীণ বিরোধীদলীয় নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শের পরই মোদীকে ‘সম্মান দিয়ে’ তার শপথ অনুষ্ঠানে থাকার সিদ্ধান্ত নেন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। 

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণাকালে মোদী তৃণমূলের রাজনীতিকে ‘মাফিয়া রাজনীতি’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মোদীকে কান ধরে ওঠবোস করানোর চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন মমতা। এর পাশাপাশি মোদীকে ‘গণতান্ত্রিক থাপ্পড়’ মারার কথা বলেছিলেন তিনি। যার জবাবে মোদী বলেছিলেন, “দিদির থাপ্পর আমার কাছে আশীর্বাদ”।