কাঠমান্ডুতে তিন বিস্ফোরণে নিহত ৪

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে তিনটি পৃথক বিস্ফোরণে চার জন নিহত ও সাত জন আহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2019, 04:22 AM
Updated : 27 May 2019, 04:46 AM

রোববারের এসব বিস্ফোরণ মাওবাদীদের দলছুট একটি গোষ্ঠী ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পুলিশ কর্মকর্তা শ্যাম লাল গাওয়ালি বলেছেন, “ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়।”

বিস্ফোরণগুলো কী ধরনের ছিল তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নগরীর কেন্দ্রস্থলের ঘাটিকুলো আবাসিক এলাকায় একটি বাড়ির ভিতরে বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হন।

ঘটনাস্থলে এলাকাটির বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী গোবিন্দ ভান্ডারি রয়টার্সকে বলেছেন, “বড় ধরনের গোলমালের শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বিস্ফোরণের ধাক্কায় একটি বাড়ির দেয়ালে অনেকগুলো ফাটল ধরেছে।”

শহরতলীর সুকেধারা এলাকার একটি সেলুনের সামনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে, এতে তিন জন নিহত হন।

তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে কাঠমান্ডুর থানকোট এলাকায় একটি ইটভাঁটির কাছে, এখানে দুই জন আহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহত সাত জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কোনো গোষ্ঠী এসব বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।

দ্বিতীয় বিস্ফোরণস্থলে উপস্থিত রয়টার্সের এক ফটো সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে সেলুনটির দরজা-জানালা চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেছে এবং সেনাবাহিনী ওই এলাকাটি সিল করে দিয়েছে। 

পুলিশ কর্মকর্তা গাওয়ালি জানিয়েছেন, সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহীদের দলছুট একটি অংশ যারা তাদের সমর্থকদের গ্রেপ্তার করার জন্য সরকারের বিরোধিতা করছে, বিস্ফোরণগুলো তাদের কাজ হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তারা।

“প্রথম বিস্ফোরণস্থল থেকে ওই গোষ্ঠীটির একটি পুস্তিকা পাওয়া গেছে,” বলেছেন তিনি।

ওই গোষ্ঠীর কর্মীরা এই বাড়িতে বসে বোমা তৈরি করতো এবং আহতদের মধ্যে একজন গোষ্ঠীটির কর্মী বলে জানিয়েছে তিনি।

এক দশক ধরে মাওবাদী গৃহযুদ্ধ চলার পর ২০০৬ সালে তা শেষ হয়। সাবেক বিদ্রোহীদের প্রধান অংশটি যে দলে যোগ দিয়েছিল তারাই এখন সরকার পরিচালনা করছে।

ফেব্রুয়ারিতে সাবেক বিদ্রোহীদের দলছুট অংশটি কাঠমান্ডুতে একই ধরনের একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল, তাতে একজন নিহত ও দুই জন আহত হয়েছিলেন।