কলম্বোতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসও বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে আরও হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
গত ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডের সকালে তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলে একযোগে আত্মঘাতী হামলার পর শ্রীলঙ্কায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। পুরো দেশে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার সৈন্য।
ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপ দেশে এক দশকের মধ্যে ভয়ঙ্করতম ওই আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ২৫৩ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সংগঠন অল সিলোন জমিয়াতুল উলামা শুক্রবার জুমার নামাজের জন্য মসজিদে না গিয়ে ঘরেই প্রার্থনা করার পরামর্শ দিয়েছে।
ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল ম্যালকম রনজিতও একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার খ্রিস্টানদের উদ্দেশে। পরবর্তী ঘোষণার আগ পর্যন্ত গির্জায় সমবেত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি দল আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে আটজনকে দেখা গেছে, যারা ওই হামলায় অংশ নেয় বলে আইএসের দাবি।
শ্রীলঙ্কা সরকার বলেছে, হামলায় এক নারীসহ মোট নয়জনের অংশ নেওয়ার তথ্য রয়েছে তাদের কাছে, তাদের সবাই শ্রীলঙ্কার নাগরিক।
বলা হচ্ছে, ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত (এনটিজে) নামে স্থানীয় একটি উগ্রপন্থি ইসলামিক দলের নেতা মোহাম্মদ জাহরান হাশিম গত রোববারের ওই হামলার হোতা। তবে ওই সংগঠন শ্রীলঙ্কার বাইরে থেকে সহযোগিতা পেয়েছে বলে দেশটির সরকারের ধারণা, এক্ষেত্রে আইএস এর জড়িত থাকার সম্ভাবনাও তারা উড়িয়ে দিচ্ছে না।