বৃহস্পতিবার শহরটির হাকিম আদালতের পেছনের খোলা মাঠ থেকে বিস্ফোরণের শব্দটি আসে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র রাভান গুনাসেকেরা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এ বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি জানিয়ে পুলিশ বলেছে, তারা বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করে দেখছে।
গুনাসেকেরা বলেছেন, “আদালতের পেছনে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে, আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
এটি পুলিশের ঘটানো কোনো নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কার রাজধানীসহ তিনটি শহরে একযোগে চালানো বোমা হামলায় ৩৫৯ জন নিহত ও প্রায় ৫০০ জন আহত হয়। এরপর থেকে দেশেটিজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে ও নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর মধ্যেই পুগোদা থেকে এ বিস্ফোরণের খবর এল।
এদিকে কলম্বোর প্রধান বিমানবন্দরের কাছে কার পার্কে একটি সন্দেহজনক গাড়ি দেখা যাওয়ার পর বিমানবন্দরে ঢোকার সড়কটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর পুলিশ।
বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বোমা হামলার শঙ্কায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনের প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করে দিয়ে কর্মীদের সদরদপ্তরের ভিতরেই থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন, ব্যাংকটির দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন।
নিরাপত্তা বাহিনী ব্যাংকের সামনের সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। এই সড়কের কাছেই কলম্বোর ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টার অবস্থিত।
পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবনে জারি করা নিরাপত্তা সতর্কতা তুলে নেওয়া হয় এবং ব্যাংকের কর্মীদের ভবনটি ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে ব্যাংকটির সূত্রগুলো।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে আরও ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে এবং এদের মধ্যে এক মিশরীয় ও কয়েকজন পাকিস্তানি রয়েছেন।
তবে আটক মিশরীয় ও পাকিস্তানিরা হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
এর আগে আরও ৬০ জনকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে এক সিরীয় নাগরিক ছিলেন।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাতে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের’ সঙ্গে জড়িত। কিন্তু বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি তারা।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তির ফেইসবুক পেইজের পোস্টগুলো তদন্ত করে দেখার সময় ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে আটক করা হয়।
“বক্তব্যগুলো সন্ত্রাসবাদের প্রসার ও প্রচারের সঙ্গে সম্পর্কিত,” বলেছেন পুলিশের এক মুখপাত্র।
অন্যান্যদের সীমান্ত এলাকায় চালানো অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যে মিশরীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে কলম্বো থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরের একটি স্কুলে আরবী পড়েছে। সে সাত বছর ধরে শ্রীলঙ্কায় বসবাস করছে অথচ তার কাছে কোনো বৈধ ভিসা বা পাসপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।