ভোটে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করতে দিল্লিতে চন্দ্রবাবু নাইড়ু

ভারতে জাতীয় নির্াচনের প্রথম দফা ভোটের দিন অন্ধ্রপ্রদেশে ইভিএম ঠিক মত কাজ না করায় প্রতিবাদ জানাতে দিল্লি গেছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইড়ু।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2019, 01:33 PM
Updated : 13 April 2019, 01:50 PM

ভোটের দিন চন্দ্রবাবু নির্াচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে পুনঃভোটের দাবি জানিয়েছিলেন বলেও জানায় এনডিটিভি।

চন্দ্রবাবুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার ভোটের দিন তার রাজ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ইভিএম নষ্ট ছিল।

যদি নির্াচন কমিশন এ বিষয়ে ইতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে তিনি ‘ধর্ার’ বসার হুমকিও দিয়েছেন বলে শনিবার জানায় এনডিটিভি।

চন্দ্রবাবুর সঙ্গে তার দল তেলুগু দেসাম পার্র (টিডিপি) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা এবং কয়েকজন আইনজীবীও নির্াচন কমিশনে গেছেন।

চন্দ্রবাবুর দাবি, তার রাজ্যে প্রায় দেড়শ ভোটকেন্দ্রে ইভিএম নষ্ট ছিল। তিনি ওইসব ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুনঃভোটের চাইছেন।

“নির্াচন কমিশন স্বায়ত্বশাসিত। অথচ তারা প্রাধনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বর্মান সরকারের নির্শ অনুযায়ী কাজ করছে। নির্াচন কমিশন আমাদের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ আচরণ করছে না।”

এর আগে ভোটের পরদিন তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, “এটা খুব বড় প্রহসন, জাতীয় জন্য দুরোগ। আমি বলছি, এটা বড় ধরনের বিভ্রান্তি, জগাখিচুড়ি অবস্থা, বড় প্রসহন।

“আমাদের হাতে থাকা আনুষ্ঠানিক খবর অনুযায়ী রাজ্যে ভোটের দিন চার হাজার ৫৮৩টি ইভিএম নষ্ট ছিল।”

অন্ধ্রপ্রদেশে রক্তক্ষয়:

গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ভোটে দিনই রক্ত ঝরেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। রাজ্যটির তাড়িপাত্রী কেন্দ্রে ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক টিডিপি নেতা নিহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের সময় বেধড়ক মারধরে মারা যান চিন্তা ভাস্কর রেড্ডি। যা নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন বুথে ইভিএম-এর গন্ডগোলের জন্য ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাধা পড়ে। যা নিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্দের মধ্যে সংঘর্ শুরু হয়।

ভোটকর্মীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে তুলকালাম করে ফেলেন এক প্রার্থী। ইভিএম তুলে আছাড় মারেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই ওই প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্ধ্র প্রদেশের গুন্টাকাল বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে এ ঘটনা ঘটেছে।