আটককৃতদের মধ্যে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের ভাই ও ছেলেও আছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
উগ্রপন্থি এ গোষ্ঠীই ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ জনেরও বেশি জওয়ানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছিল।
জঙ্গিদমনে তীব্র আন্তর্জাতিক চাপে থাকা পাকিস্তান জানিয়েছে, ‘দমনমূলক কর্মসূচির’ অংশ হিসেবে তারা ৪৪ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজম সুলেমান খান বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তারা যদি আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পান তাহলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, নাহলে এদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
কাশ্মীরে গত মাসের হামলার পর পাকিস্তানি তদন্ত সংস্থাকে ভারত যাদের নাম দিয়েছিল, আটককৃতদের মধ্যে তাদের কয়েকজনও আছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
যদিও হামলার জন্য দায়ী জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের কোনো খোঁজ মেলেনি।
ভারত ও জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যও পাকিস্তানভিত্তিক এ সশস্ত্র সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবেই বিবেচনা করে থাকে।
পাকিস্তান মাসুদ আজহারের ভাই ও ছেলেসহ ৪৪ সন্দেহভাজনকে আটক করার কথা জানালেও কোনো তদন্ত বা অভিযানের ভিত্তিতে এ আটক না হওয়ায় পদক্ষেপটি জঙ্গিদমনে কতটুকু কার্যকর হবে অনেকেই তা নিয়ে সন্দেহের কথাও জানিয়েছেন।
সমালোচকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চাপ প্রশমনেই ইসলামাবাদ ‘প্রতীকীভাবে’ কয়েকজনকে আটক করেছে।
পাকিস্তান জঙ্গিদেরকে তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের ওপর হামলা চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে নয়া দিল্লি।
কাশ্মীরে ১৪ ফেব্রুয়ারির হামলায় পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ভূমিকা ছিল বলেও দাবি তাদের। পাকিস্তান শুরু থেকেই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
জইশ-ই-মোহাম্মদের গত মাসের হামলাকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।