দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি আক্রমণে চরম উত্তেজনার মধ্যে দুটো ভারতীয় এয়ারক্র্যাফট ভূপাতিত করে এক বৈমানিককে আটকের কথা দাবি করেছে পাকিস্তান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2019, 06:57 AM
Updated : 27 Feb 2019, 11:58 AM

পাকিস্তানের বালাকোটে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় ভারতীয় বিমানের বোমাবর্ষণের পর বুধবার পাকিস্তানি জঙ্গি বিমানও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের রাজৌরি জেলায় নওশেরা সেক্টরে বোমা ফেলেছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স।  

আর ভারত বলেছে, অন্তত তিনটি পাকিস্তানি জঙ্গি বিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ভেতরে ঢোকার পর ভারতীয় বিমানবাহিনীর ‘তাড়া খেয়ে’ পালিয়ে গেছে।

অন্যদিকে পাকিস্তান আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, পাকিস্তানের সীমানায় থেকেই তাদের জঙ্গিবিমান আক্রমণ শানিয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর দাবি করেছেন, তাদের বাহিনী দুটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে একটি ফাইটার পড়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে। অন্যটি ভারতীয় অংশে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।

পাকিস্তানের তথ্য মস্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে চোখ বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত এক বৈমানিককে দেখিয়ে বলা হচ্ছে তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার আভি নন্দন। 

ভারত সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না দিলেও ভারতীয় বিমানবাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি লিখেছে, তাদের কোনো পাইলট নিখোঁজ নেই।

তবে জম্মু-কাশ্মীরের বুদগাম এলাকায় সকালে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবরে বলা হচ্ছে, যে পাকিস্তানি জেট ফাইটারগুলো ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকেছিল, তার মধ্যে একটি এফ-১৬ গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের সকারের অভিযানে কোনো এফ-১৬ ফাইটার ব্যবহার করা হয়নি।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তানও ইসলামাবাদ থেকে লাহোর পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। 

এদিকে কাশ্মির সীমান্ত ঘিরে এই উত্তেজনার মধ্যে দিল্লির উত্তরে প্রায় পুরো এলাকায় বিমান চালাচল বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। আটটি বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে এনডিটিভির খবরে জানানো হয়েছে।

</div> </p><p>ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এই উত্তেজনার মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছেন।</p><p>আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে আসছেন বলে তার দল তেহরিক ই ইনসাফের এক টুইটে জানানো হয়েছে। </p><p>ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ইতোমধ্যে চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বলেছেন, ভারত ‘দায়িত্বশীলতা’ আচরণই করে যাবে। উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই।</p><p>অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, উত্তেজনা বাড়ুক- তা তারাও চায় না। তবে বাধ্য করা হলে নিজেদের ভূখণ্ডে আত্মরক্ষার সক্ষমতা ও পূর্ণ পস্তুতি যে পাকিস্তানের আছে, সেটার প্রমাণ দিতেই দুটি ভারতীয় জঙ্গি বিমানকে ভূপাতিত করা হয়েছে।</p>