ভারতে প্রথম ধর্ম-বর্ণ পরিচয়হীন নারীর স্বীকৃতি

নিজেকে শুধু ভারতীয় নাগরিক মানেন; কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মানুষ নন। তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে ধর্ম ও বর্ণহীন নাগরিক হিসেবে সনদ আদায় করে নিজের বিশ্বাসের আইনি বৈধতা পেয়েছেন ৩৫ বছরের নারী এমএ স্নেহা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2019, 04:07 PM
Updated : 25 Feb 2019, 04:41 PM

তিরুপাথুরের এই আইনজীবীর নামের সঙ্গে কোনো বর্ণ পরিচয় নেই। এমনকি তার জন্মসনদ বা স্কুলের সনদেও বর্ণ পরিচর ও ধর্ম পরিচয় লেখার ঘর ফাঁকা।

সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকার স্নেহার নামে একটি আনুষ্ঠানিক সনদ পাঠিয়েছে। যেখানে তাকে বর্ণ ও ধর্মহীন নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ভারতে তিনিই প্রথম এ ধরনের সনদ পেলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

আইএএনএস’ বার্তা সংস্থাকে স্নেহা বলেন, “যেখানে সরকার সব নাগরিককে সামাজিক সনদ দেয়, সেখানে আমি কেন বর্ণ বা ধর্মহীন নাগরিক হিসেবে সনদ পাব না। বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তোলে। প্রাথমিকভাবে আমি একটি চিঠি পাঠিয়ে এ ধরনের সনদ চাই। পরে অন্য সবাই যেভাবে সামাজিক সনদের আবেদন করে, আমি সেভাবে আবেদন করি।”

এ মাসের শুরুর দিকে নিজের আবেদনের জবাব পান স্নেহা। তামিলনাড়ু সরকার তাকে বর্ণ ও ধর্মহীন নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সামাজিক সনদ দেয়।

“আমার বাবা-মা, বোনেরা, স্বামী, তিন মেয়ে কারোই বর্ণ বা ধর্ম পরিচয় নেই। আমরা সবাই নাস্তিক। এই সনদ শুধুমাত্র আইনি নথি।

স্নেহা ও তার স্বামী কে. পার্থিবারাজা তাদের তিন মেয়ের নাম আধিরি নাসরিন, আধিলা আইরিন এবং আরিফা জেসি রেখেছেন।

স্নেহার দুই বোনের নামও ধর্ম পরিচয় বহন করেন না। তাদের নাম মুমতাজ সুরাইয়া ও জেনিফার।

স্নেহার বাবা-মা দুজনই পেশায় আইনজীবী এবং ভিন্ন বর্ণের। স্নেহার নামের শুরুতে এমএ তার মা-বাবার নামের প্রথম অক্ষর থেকে রাখা হয়েছে।

শৈশবে স্কুলে স্নেহা ও তার দুই বোনকে কোনো বর্ণ বা ধর্ম না থাকা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

ভবিষ্যতে তার তিন মেয়ে কখনো বর্ণ বা ধর্ম না থাকার নীতি থেকে এক ইঞ্চিও সরে যাবে না বলে দৃঢ় বিশ্বাস এই মা’য়ের।