কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা, সেনা সদস্য নিহত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে পাঁচ ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2019, 06:41 AM
Updated : 25 Feb 2019, 07:00 AM

রোববার রাজ্যের কুলগাম জেলার এ গোলাগুলির ঘটনায় এক মেজরসহ দুই সৈন্য আহত হয়েছেন বলে খবর এনডিটিভির।

এ ঘটনায় তিন বিচ্ছিন্নতাবাদীও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গোপন সূত্রে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অবস্থানের খবর পেয়ে স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার দিকে কুলগামের তুরিগাম এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।

এনডিটিভি জানিয়েছে, দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর নিক্ষেপ শুরু করে স্থানীয়রা।

নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান বিঘ্ন ঘটাতে ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতেই এমনটি করা হয় বলে অভিযোগ ভারতীয় গণমাধ্যমের।

নিহত সহকারী পুলিশ সুপার আমান কুমার ঠাকুর গোলাগুলির সময় সামনে থেকে পুলিশের একটি দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন বলে খবর। তিনি রাজ্য পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের কুলগাম জেলা প্রধান ছিলেন। 

১৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের পুলওয়ামা জেলায় আত্মঘাতী এক গাড়িবোমা হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ জনেরও বেশি জওয়ান নিহত হওয়ার পর থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিভিন্ন স্থানে উত্তেজিত জনতার ক্রোধেরও মোকাবিলা করতে হচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে।

এদিনও ঘটনাস্থলের কাছে প্রায় এক হাজার লোক নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে।

গোলাগুলি থামার পর নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে এক বিচ্ছিন্নতাবাদীর লাশ পাওয়া যায়। 

পুলওয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করা হয়েছে। 

হামলার পর কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সব রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে সরকার।

রোববার পর্যন্ত জামাত-ই-ইসলামি ও হুরিয়াত কনফারেন্সের বেশ কয়েকজন স্বাধীনতাকামী নেতাসহ ১৩০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।