আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি যুবরাজ পাকিস্তানে

পাকিস্তান দিয়েই দক্ষিণ এশিয়া ও চীনে কয়েকদিনের সফর শুরু করছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2019, 08:32 AM
Updated : 17 Feb 2019, 12:00 PM

সফরের শুরুতে রোববার তিনি ইসলামাবাদ নামছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে পাকিস্তানে এটিই মোহাম্মদের প্রথম সফর হতে যাচ্ছে। তবে কাশ্মীরের ঘটনা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা সৌদি যুবরাজের এবারের সফরকে কালোছায়ায় ঢেকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। 

বৃহস্পতিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর ৪৪ সদস্য নিহত হয়। এ ঘটনা নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদের সফর শুরু হচ্ছে।

বৃহস্পতিবারের হামলায় পাকিস্তানের দায় আছে অভিযোগ করে এজন্য ইসলামাবাদকে শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।

রয়টার্স বলেছে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্সকে পাকিস্তান দুহাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাতে যাচ্ছে। তার এ সফরে দেশদুটির মধ্যে দশ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সৌদি সহায়তাই সংকটে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ধরে রেখেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে ‘বেইল আউট’ নিয়ে ইসলামাবাদের মধ্যস্থতা চলছে।এর মধ্যে রিয়াদের ৬০০ কোটি ডলার ঋণ ইসলামাবাদকে খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে বলে খবর।  

সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের আগে থেকে ওই আকাশসীমা অন্য সব বিমানের জন্য বন্ধ রাখা হবে। নিরাপত্তার জন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামাবাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।

ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রথম অতিথি হতে যাচ্ছেন। নির্বাচনে জয়ের পর জনগণের করের অর্থ বাঁচাতে প্রথমে ওই বাসভবন ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ইমরান।

সফরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান ও পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ।

এরপর তিনি ইসলামাবাদে আফগান তালেবানদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেও পারেন বলে পাকিস্তান সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ অবসানে চলমান শান্তি আলোচনা নিয়ে মোহাম্মদের সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধিরা কথা বলবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ক্রাউন প্রিন্সের এ সফরের মাধ্যমে ইসলামাবাদ ও রিয়াদের সম্পর্কের গভীরতা আরও দৃঢ় হবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।

অতীতেও বেশ কয়েকবার পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিল রিয়াদ। এর বিনিময়ে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী সৌদি আরব ও এর রাজপরিবারের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছে।