স্বামী-সন্তানরাও ‘পরিত্যাগ করেছে’ শবরীমালায় ঢোকা কনককে

দশকের পর দশক ধরে চলে আসা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেরালার শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করে ইতিহাস সৃষ্টি করা কনক দুর্গাকে এবার তার স্বামী ও শাশুড়ি বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Jan 2019, 10:28 AM
Updated : 23 Jan 2019, 10:28 AM

৩৯ বছর বয়সী এ নারী মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন।

এর আগেই  তার স্বামী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে চলে যান বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার, বিবিসি।

যে শাশুড়ির লাঠির আঘাতে কনককে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল, তিনিও ছেলের সঙ্গে বেরিয়ে যান। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরও কেউ ফিরে না আসায় পরে বাধ্য হয়েই কনককে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে হয়। 

পুলিশ পরে বুধবার কনকের স্বামী কৃষ্ণান উন্নিকে থানায় ঢেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলেও বিবিসি জানিয়েছে।

সেসময় কনকও থানায় ছিলেন, জানিয়েছেন সমাজকর্মী থানকাচান ভিথায়াতিল। 

“কনক জোর করলেও উন্নি তাকে ঘরে নিতে আগ্রহী নন বলে জানিয়েছেন। কনক যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি,” বলেছেন তিনি।

উন্নি থানা থেকে চলে গেলে কনকও আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরে যান। বিষয়টি এখন আদালতেই সমাধা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

“ঘরে ফেরার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন কনক। তিনি খুবই বিপর্যস্ত বোধ করছেন,” থানকাচান এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দশকের পর দশক ধরে কেরালার শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী নারীদের প্রবেশে মন্দির কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গত বছর সুপ্রিম কোর্ট ওই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেয়। এরপর অনেক নারী ওই মন্দিরটিতে প্রবেশের চেষ্টা চালালেও মন্দিরের ভক্ত-অনুসারীদের বাধার মুখে ব্যর্থ হন।

জানুয়ারির শুরুর দিকে বিন্দু আম্মিনি ও কনক দুর্গা মন্দিরটিতে প্রবেশ করতে সফল হলে তা নিয়ে কেরালাজুড়ে তুলকালাম বেধে যায়।

ওই ঘটনার পর থেকেই দুই নারীর ওপর আক্রমণের আশঙ্কায় তাদেরকে কোচির একটি অজ্ঞাত জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়। দেয়া হয় পুলিশি সুরক্ষা।

গত ১৫ জানুয়ারি কনক দুর্গা বাড়ি ফিরলে তার শাশুড়ি তাকে লাঠি দিয়ে পেটান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত অবস্থায় ৩৯ বছর বয়সী এ নারীকে কোঝিকোড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শাশুডির মারধরের ঘটনায় কনক আদালতে অভিযোগও দায়ের করেছেন।