ধর্ষণ মামলায় শুক্রবার গুরগাঁও আদালতে ওই তরুণীর জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা ছিল।
তার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে অভিযুক্ত স্বন্দীপ কুমার তার মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন নিহত তরুণীর মা।
পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, নিহত তরুণী ২০১৭ সালের মার্চে স্বন্দীপের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছিলেন। একই নাইট ক্লাবে ওই তরুণী নাচতো এবং স্বন্দীপ ‘বাউন্সার’র কাজ করত। চার বছর ধরে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল।
শুরু থেকেই স্বন্দীপ ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তরুণীকে চাপ দিত বলে দাবি করেন তারা মা।
বলেন,“শুক্রবার ভোররাতের দিতে স্বন্দীপ আমাদের নাথুপুরের বাড়িতে আসে এবং আমার মেয়ের সঙ্গে তার গাড়িতে কয়েক মিনিট একা কথা বলার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করে। মেয়ে গাড়িতে উঠার সঙ্গে সঙ্গে সে দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর ভোর ৬টার দিকে সে ফোনে আমাকে মামলা তুলে নিতে বলে, নতুবা মেয়েকে হত্যার হুমকি দেয়।”
আদালতে জবানবন্দি দিতে তারা করনাল থেকে গুরগাঁও এসেছেন বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার পথচারীরা গুরগাঁও-ফরিদাবাদ সড়কের পাশে এক তরুণীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করে।
গুরগাঁও পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের মার্চে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তারা স্বন্দীপকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে সে জামিনে বেরিয়ে আসে।
“তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা স্বন্দীপের বিরুদ্ধে এখন হত্যা মামলা দায়ের করেছি। পলাতক স্বন্দীপের বাড়ি ফরিদাবাদের তিগাঁওয়ে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।”