বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সাড়ে দশটা নাগাদ শুনানি শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই বিচারপতি উদয় ইউ ললিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ শুনানি পিছিয়ে ২৯ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একাংশ অযোধ্যাকে দেবতা রামের জন্মভূমি হিসেবেই বিবেচনা করে। সেই জন্মভূতিতে রামমন্দির ভেঙেই বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল বলেও অভিযোগ তাদের।
এ নিয়ে হওয়া মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসিজদ সংশ্লিষ্ট জমিকে হিন্দু ও মুসলমানদের তিনটি সংগঠনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
যদিও রামমন্দির ভেঙেই বাবরি মসজিদ হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে সর্বসম্মত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তিন সদস্যের ওই হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হিন্দু-মুসলমান উভয় পক্ষই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর সম্মতি না থাকলেও পরে সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের অনুরোধেও সাড়া দেন এখনকার প্রধান বিচারক গগৈ।
বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতেই আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান প্রশ্ন করার অনুমতি চাইলে তাকে থামিয়ে দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কী শুরু করবেন? আজকের দিনটা শুনানির জন্য নয়, মামলার চূড়ান্ত শুনানি কবে, সে দিনটা ঠিক করার জন্য।”
এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট কেন তিন সদস্যের বেঞ্চ থেকে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করল তা জানতে চান ধাওয়ান। তিনি বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি ললিতকে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
ধাওয়ান বলেন, ১৯৯৭ সালে বিচারপতি ললিত নিজেও বিতর্কিত বাবরি মসজিদ মামলার একজন আইনজীবী ছিলেন।
“তিনি কোনো এক পক্ষের হয়ে মামলায় লড়েছিলেন। তাই তার সাংবিধানিক বেঞ্চে থাকা উচিত হবে না,” বলেন এ আইনজীবা।
তার এ বক্তব্যের সঙ্গে অন্য বিচারকরা সহমত পোষণ করলে বিচারপতি ললিত বেঞ্চ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
প্রধান বিচারপতি পরে জানান, সরে যাওয়া বিচারপতির শূন্য আসনে আরেকজনকে নিয়োগ দিয়ে ২৯ জানুয়ারি থেকে ফের শুনানি হবে।
গগৈ ছাড়াও সাংবিধানিক এ বেঞ্চে আর যে ৩ বিচারক আছেন, তারা হলেন- এস এ ববদে, এন ভি রামানা ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।