চেন্নাই থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে ভিরুধুনাগর জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে রক্ত দেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর এনডিটিভির।
মারাত্মক এ অবহেলার দায়ে সরকারিভাবে পরিচালিত একটি ব্লাড ব্যাংকের তিন ল্যাব টেকনিশিয়ানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুই বছর আগে এক রক্তদাতা রক্ত দেওয়ার পর তার এইচআইভি পজিটিভ বলে ধরা পড়েছিল, কিন্তু তারা ওই রক্তদাতাকে তা জানাতে ও এ বিষয়ে রেকর্ড সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
২৪ বছর বয়সী ওই নারী ও তার স্বামীকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার, কিন্তু তারা ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা করবেন জানিয়ে এ বিষয়ে সরকারের সাহায্য চেয়েছেন।
সম্প্রতি নিকটবর্তী শহর সিভাকাসিতে সরকারি ব্লাড ব্যাংকের টেকনিশিয়ানরা ওই এইচআইভি পজিটিভি তরুণের রক্ত পরীক্ষায় কোনো সমস্যা পাননি। ৩ ডিসেম্বর ওই তরুণের রক্ত গর্ভবর্তী ওই নারীকে দেওয়া হয়।
কিন্তু এর কয়েকদিনের মধ্যে বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে আবেদন করা ওই তরুণের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। বেসরকারি একটি ল্যাবরেটরিতে করা এই পরীক্ষায় ওই তরুণের রক্তে এইচআইভির উপস্থিতি ধরা পড়ে। নিজের রক্তে এইচআইভির উপস্থিতি জানার পর ওই তরুণ সেই সরকারি হাসপাতালকে তা অবহিত করে, কিন্তু এরইমধ্যে তার রক্ত ওই নারীর শরীরে দেওয়া হয়ে গেছে।
তদন্তকারীরা বের করেন, দুই বছর আগে এক এনজিওর উদ্যোগে হওয়া স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচীতে ওই তরুণ রক্ত দিয়েছিলেন এবং তার রক্তে এইচআইভি ও হেপাটাইটিস বি-র জীবাণু শনাক্ত হয়েছিল। কিন্তু ল্যাব কর্মকর্তারা তার মেডিকেল রেকর্ড সংরক্ষণ করেননি এবং এই ফলাফল সম্পর্কে ওই তরুণকেও কোনো কিছু জানাননি।
ওই নারীকে এখন এন্টি-রেট্রোভাইরাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে শানাক্ত হওয়ায় এ নারীর দীর্ঘ জীবন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এখন পরিবারটি তাদের নতুন সন্তানের অপেক্ষায় আছে। শিশুটি এইচআইভি নিয়ে জন্মায় কি না তা জানার জন্য সংশ্লিষ্টদের শিশুটির জন্ম নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।