২০০৮ সালে রাজধানী ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেলে বোমা হামলার পর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজসহ পশ্চিমা এয়ারলাইনগুলো পাকিস্তানে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছিল।
পশ্চিমা এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজই প্রথম আবার দেশটিতে যাতায়াত শুরু করতে যাচ্ছে।
২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে একটি ময়লা ফেলার ট্রাকে বিস্ফোরক ভর্তি করে ম্যারিয়ট হোটেল প্রাঙ্গণে ওই হামলায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে পাঁচজন বিদেশি নাগরিক ছিলেন। হামলায় আরও আড়াই শতাধিক মানুষ আহত হন।
বর্তমানে পাকিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির কথা জানিয়ে পাকিস্তানে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রিচার্ড ক্রাউডার সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফিরে আসার অন্যতম প্রধান কারণ ‘এ দেশে নিরাপত্তা পরিবেশের উন্নতি’।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন, তাদের কারণে অন্যান্য বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এখানে বিনিয়োগ করার আস্থা ফিরে পাবে এবং পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে।
আগামী বছর ১৫ জুন থেকে লন্ডনের হিথ্রু বিমানবন্দর থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ইসলামাবাদ যাবে। সপ্তাহে মোট তিনটি ফ্লাইট লন্ডন-ইসলামাবাদ চলাচল করবে।
বর্তমানে লোকসানে থাকা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) ফ্লাইট পাকিস্তান-যুক্তরাজ্য সরাসরি যাতায়াত করে। কিন্তু কোম্পানিটির খুবই পুরাতন উড়োজাহাজগুলোর নিরাপত্তা ঝুঁকি অনেক বেশি। তাছাড়া, সেবার মান নিয়েও যাত্রীদের অভিযোগের শেষ নেই।
পাকিস্তানে কাতার এয়ারওয়েজ, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ও এমিরেটসের শক্ত অবস্থান রয়েছে এবং এই কোম্পানিগুলোই পিআইএ’র ব্যবসা শেষ করে দিচ্ছে।
তুর্কি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটও পাকিস্তানে নিয়মিত চলাচল করে।