নিহত ওই ভিক্ষুকে রাহুল ওয়ালকে বলে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা, খবর বিবিসির।
বার্তা সংস্থা পিটিআইকে তারা জানিয়েছেন, সংরক্ষিত বাঘ অভয়ারণ্য টাডোবা বনের ‘একটি গাছের নিচে ধ্যান করছিলেন’ রাহুল। এ ভিক্ষুকে বনের খুব গভীরে না যেতে সতর্কও করেছিলেন বন কর্মকর্তারা।
বনের ভিতরের একটি বৌদ্ধ মন্দিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি, কিন্তু ধ্যান করার জন্য মন্দির থেকে অনেক দূরে চলে যান।
একই মন্দিরের আরেক ভিক্ষু বিবিসি মারাঠিকে জানিয়েছেন, বুধবার সকালে খাবার দেওয়ার জন্য তারা ওই ধ্যানের স্থানটিতে গিয়ে রাহুলকে বাঘ হামলা করছে দেখতে পান, সাহায্য চাইতে তিনি সেখান থেকে চলে এসে অন্যান্যদের নিয়ে গিয়ে দেখতে পান ততক্ষণে বাঘ রাহুলকে মেরে ফেলেছে।
বিবিসি মারাঠিকে বন কর্মকর্তা জিপি নারাওয়ানে বলেছেন, “আমি সবাইকে বলতে চাই বনের ভিতরে যাবেন না।”
তারপরও চিতাবাঘটিকে ধরতে একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“আমরা দুটি খাঁচা ও একটি ক্যামেরা ফাঁদ পেতে রেখেছি, পশুটিকে ট্র্যাংকুলাইজ করার চেষ্টা করবো আমরা,” বলেছেন তিনি।
রাহুলের পরিবারকে ১২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার।
টাডোবা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হিসাবকৃত বাঘের সংখ্যা ৮৮টি। এই বনে বাঘের পাশাপাশি চিতাবাঘ, শ্লথ ভালুক, হায়েনা ও মধু শিকারি ব্যাজারসহ বহু প্রাণী বাস করে।