কংগ্রেস-বিজেপির বয়কট, চালু হল কেরালার চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় দলের সাংসদ ও রাজ্য নেতাদের বয়কটের মধ্যেই কান্নুরে উদ্বোধন হল কেরালার চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2018, 10:41 AM
Updated : 9 Dec 2018, 10:42 AM

ভারতের কোনো রাজ্যে এর চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নেই বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রোববার নতুন এ বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দুই হাজার একরের এ বন্দর একসঙ্গে হাজারদুয়েক যাত্রী সামলাতে পারবে।

শবরীমালা মন্দির নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান এবং সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের দাওয়াত না দেওয়ায় জমকাল এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করার আহ্বান জানায় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।

পিনারাই বিজয়নের সরকার সব কৃতিত্ব আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চান্ডিকে নিমন্ত্রণ করেনি বলেও অভিযোগ কংগ্রেস নেতা রমেশ চেনিথালার।

বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে তিনি বলেন, চান্ডি সরকারই কান্নুর বিমানবন্দরের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছিল। বাকিটা করে উদ্বোধনের মাধ্যমে বিজয়ন সব কৃতিত্ব হাতিয়ে নিতে চান।

রাজ্য সরকার সাবেক বাম মুখ্যমন্ত্রী অচ্যুতানন্দকেও আমন্ত্রণ জানায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। অচ্যুতানন্দের সরকারই বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেছিল। 

রোববার উদ্বোধনের পর অতিথিরা কান্নুর থেকে আবুধাবির উদ্দেশ্যে ১৮০ যাত্রী নিয়ে উড়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের ‘ফ্ল্যাগ অফ’ করেন।

প্রথমদিকে এ বিমানবন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও কাতারের উদ্দেশ্যে বিমান ছাড়বে। দেশের মধ্যে বিমান উড়বে হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ের পথে।

এক হাজার ৮০০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত এ বিমানবন্দরে বছরে ১৫ লাখ মানুষ যাতায়াত করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৫০ মিটার; প্রয়োজন পড়লে এটি চার হাজার মিটার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে বলেও জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

কান্নুরের এ বিমানবন্দরকে ঘিরে চলতি বছরের অক্টোবরেও এক বিতর্কে জড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। সেবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে বহন করা একটি চার্টার্ড প্লেন এখানে নামলে বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।

“অভিনন্দন, আপনাদের উদ্বোধন হয়ে গেছে,” বিমান থেকে নেমেই বলেছিলেন অমিত।

ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় কেরালার বাম সরকার। তাদের অর্থমন্ত্রী রাজ্যের অতিথিপরায়নতাকে বাজেভাবে ব্যবহারে অমিত শাহকে অভিযুক্তও করেন।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরে জানায়, রাজ্য সরকার নয় তারাই অমিত শাহর বিমানকে অবতরণে অনুমতি দিয়েছিলেন।