এ খুনের ঘটনায় পুলিশ জনপ্রিয় এক টেলিভিশন অভিনেত্রী ও মডেলকেও আটক করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
২৮ নভেম্বর থেকে রাজেশ্বর উড়ানি নামের মুম্বাইয়ের ওই হীরা ব্যবসায়ীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর শুক্রবার রায়গাদ জেলার পানভেল জঙ্গলে ৫৭ বছর বয়সী রাজেশ্বরের মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ মহারাষ্ট্র রাজ্যের মন্ত্রী প্রকাশ মেহতার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী শচীন পাওয়ার ও বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল দিনেশ পাওয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে।
দিনেশ এর আগে ধর্ষণের এক মামলায়ও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর দেবলীনা ভট্টাচার্য নামে এক টেলিভিশন অভিনেত্রীকেও আটক করে পুলিশ। খুনের ঘটনায় তার ভূমিকা কী ছিল তা প্রকাশ করেনি পুলিশ।
এ অভিনেত্রী জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল ‘সাথ নিভানা সাথিয়াতে’ গোপী বহু চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
পুলিশ বলছে, উড়ানি নিখোঁজ হওয়ার সপ্তাহখানেক পর তার পরিবার অপহরণের একটি মামলা দায়ের করে।
পুলিশ এখন ওই গাড়িটির খোঁজ করছে। এ ঘটনায় দুই ডজন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, মুম্বাইয়ের এ ব্যবসায়ীকে অন্য কোথাও হত্যার পর তার লাশ পানভেলের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়।
রাজেশ্বর উড়ানি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিনোদন জগতের আরও কয়েকজন নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে পুলিশ।
ফোন কলের তথ্য ও পুলিশি তদন্তে উড়ানির সঙ্গে ওই অভিনেত্রীসহ বিনোদন জগতের বেশ কিছু নারীর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গেছে। মহারাষ্ট্রের গৃহায়ন, শ্রম ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী প্রকাশ মেহতার সঙ্গে কাজ করা শচীন পাওয়ারের মাধ্যমে এসব যোগাযোগ তৈরি হয়।
২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত শচীন তার সঙ্গে কাজ করেছে বলে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী মেহতা।
বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে মুম্বাইয়ের নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে দাঁড়ানোর পর থেকেই আগের সহকারীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ বলেও দাবি করেছেন তিনি।