কড়া নিরাপত্তায় ভোট চলছে আফগানিস্তানে

সরকারি বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ও তালেবান বিদ্রোহীদের হুমকির মধ্যেই দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সংসদ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছে আফগানিস্তানের জনগণ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2018, 05:31 AM
Updated : 20 Oct 2018, 05:32 AM

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এবারের নির্বাচনে আড়াইশটি সংসদীয় আসনের জন্য আড়াই হাজারের বেশি প্রার্থী লড়াই করছেন, যাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও কম নয়।

২০১৫ সালে আগের সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক ও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা করা যায়নি।

প্রায় ৯০ লাখ ভোটার এবারের নির্বাচনে তাদের রায় জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও তালেবান হুমকির কারণে ভোট পড়ার হার কম হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুর্নীতি, অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, সংঘাতের বিস্তৃতির কারণেও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে আস্থা পাচ্ছেন না অনেক আফগান নাগরিক। অন্যদিকে বিদেশি অংশীদারদের আশা, এ নির্বাচন দেশটির ঝঞ্জাবিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি বদলাতে কাজে দেবে।

আগামী বছরের এপ্রিলে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আগে এবারের সংসদ নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। 

নয় ঘণ্টা ধরে চলে ভোট গ্রহণ পর্বে প্রায় ৫ হাজার কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। প্রাথমিক তালিকায় থাকলেও ঝুঁকির কারণে আরও প্রায় দুই হাজার কেন্দ্রে ভোট দিতে পারছেন না আফগানিরা।

বৃহস্পতিবার কান্দাহারে দেহরক্ষীর গুলিতে শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জেনারেল আবদুল রাজ্জাকের মৃত্যুর পর প্রদেশটির ভোট এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওই হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে ফেরেন মার্কিন কমান্ডার জেনারেল স্কট মিলার। আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকের পর হওয়া ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে তালেবানরা।

‘জাল’ সংসদ নির্বাচন বয়কট করতে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি।  ভোট বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটও।

ভোট কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৫৪ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটের প্রাথমিক ফল জানতেও ২০ দিনের মতো অপেক্ষা করা লাগবে।