ভারতে বিচারকের স্ত্রী, ছেলেকে গুলি দেহরক্ষীর

ভারতের রাজধানী সংলগ্ন এলাকার একটি ব্যাস্ত মার্কেটে এলাকায় এক বিচারকের স্ত্রী ও তার ১৮ বছর বয়সী ছেলেকে গুলি করেছে ওই বিচারকের ব্যক্তিগত এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা। 

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2018, 02:27 PM
Updated : 13 Oct 2018, 02:27 PM

শনিবার বিকালে দিল্লি সংলগ্ন গুরগায়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে খবর ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির। 

গুলিবিদ্ধ দুজনকেই একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিচারপতির ছেলের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে এনটিভিকে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র; তবে তার স্ত্রী বিপদমুক্ত আছেন বলে জানিয়েছে তারা।

আহতদের রিতু (৩৮) ও ধ্রুব বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গুরগাওয়ের ৪৯ নম্বর সেক্টরে আর্কেডিয়া মার্কেটের কাছে এ ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক কৃষাণ কান্ত শর্মার স্ত্রী ও ছেলে সেখানে শপিং করতে গিয়েছিলেন।

বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সামনেই বন্দুকধারী প্রথমে বিচারকের স্ত্রী ও পরে তার ছেলেকে গুলি করেন। গুলি করার পরপরই ওই ছেলেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বন্দুকধারী। কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয়ে তাকে পথের মধ্যে ফেলে রেখেই যে গাড়ি দিয়ে তারা মার্কেটে এসেছিল সেটি চালিয়ে নিয়ে চলে যায় ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে নিজেদের মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছেন।

গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার পথে গুলিবর্ষণকারী বিচারককে ফোন করে তার স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করার কথা জানান। আরও দুটি কল করে অন্যান্য লোকজনকেও এই গুলিবর্ষণের কথা জানান ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।    

মহিপাল সিং নামের এই পুলিশ কনস্টেবল গত দুই বছর ধরে বিচারক শর্মার দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

ঘটনার পর গাড়ি নিয়ে মহিপাল একটি থানায় উপস্থিত হয়ে ফের গুলিবর্ষণ করেন। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যান। থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা তাকে ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এর কিছুক্ষণ পরে তাকে স্থানীয় ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গুলিবর্ষণের পেছনের কারণ জানতে মহিপালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে জানা গেছে, বিচারপতির পরিবারের ‘দুর্ব্যবহারের’ কারণে বিষন্ন ও মর্মাহত হয়ে ছিলেন তিনি।