#মি টু ঝড়ের ধাক্কা ভারতের মন্ত্রিসভাতেও

ভারতে গত এক সপ্তাহে '#মি টু' আন্দোলনে একের পর এক নারী যৌন হয়রানির শিকার হওয়া নিয়ে মুখ খুলছেন। সবচেয়ে বেশি অভিযোগের তীর শক্তিশালী দুই ক্ষেত্র বিনোদন এবং সংবাদমাধ্যমের দিকে। আন্দোলনের ধাক্কা লেগেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভাতেও।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2018, 04:46 PM
Updated : 10 Oct 2018, 04:46 PM

অভিযুক্ত নিপীড়নকারীদের দলে সর্বশেষ সংযোজন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। যিনি একজন সুপরিচিত সাংবাদিক এবং লেখক। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি একাধিক পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানায়, আকবরের বিরুদ্ধে কয়েকজন নারী সাংবাদিক যৌন অসদাচরণের অভিযোগ এনেছেন। তিনি হোটেল কক্ষে তরুণ নারীদের ‘বৈঠকের’ আমন্ত্রণ জানাতেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

যদিও এ বিষয়ে আকবর বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর বুধবার ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস তাকে হয় এর সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে বলেছে, নতুবা পদত্যাগের দাবি তুলেছে।

গত কয়েক দিনে ভারতে বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। যাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ও শীর্ষ পদাধিকারী হচ্ছেন আকবর।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রিয়া রমণী গত সোমবার এক টুইটে প্রথম আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন।

এক বছর আগে ‘ভোগ ইন্ডিয়া’ তে নিজের লেখা আর্টিকেল ‘টু দ্য হার্ভি ওয়েইনস্টেইন অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রিটুইট করেন তিনি।

ওই লেখায় তিনি কর্মক্ষেত্রে প্রথমবারের মত যৌন অসদাচরণের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। যদিও ওই আর্টিকেলে তিনি কারো নাম উল্লেখ করেননি।

কিন্তু সোমবার লেখাটি রিটুইট করার সময় তিনি আকবরের নাম নেন।

তারপর আরও পাঁচজন নারী আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনেস্তার অভিযোগ নিয়ে সামনে আসেন। অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো একজন একই অভিযোগ করেছেন।

প্রায় ১০ বছর আড়ালে থাকা সাবেক মিস ইন্ডিয়া তনুশ্রী দত্ত সম্প্রতি অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও হামলার অভিযোগ এনে ভারতে ‘মি টু’ আন্দোলনের সূচনা করেন।