উড়িষ্যার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় তিতলি

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র কারণে রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারির পাশাপাশি চারটি জেলার স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য উড়িষ্যার সরকার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2018, 08:00 AM
Updated : 10 Oct 2018, 08:36 AM

বুধবার দুপুরের মধ্যেই আরও শক্তি অর্জন করে সাইক্লোনটি বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ আঘাত হানতে পারে বলেও ধারণা করছে তারা।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া তিতলির প্রভাবে উড়িষ্যার কয়েকটি অংশে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহায়া দপ্তর। এটি বৃহস্পতিবার সকালে উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যবর্তী উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে; খবর এনডিটিভির। 

তিতলি বর্তমানে উড়িষ্যার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গোপালপুর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে । এটি গোপালপুর ও অন্ধ্রের কালিঙ্গাপাটনামের মাঝ দিয়ে উড়িষ্যা ও পার্শ্ববর্তী উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করবে বলে আবহাওয়া দপ্তরটি জানিয়েছে।

সে সময়  বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।

বুধবার উড়িষ্যার মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে গজপতি, গানজাম, পুরি ও জগতসিংহপুরের সব স্কুল, কলেজ ও অঙ্গনওয়াড়ি শিশুসদন কেন্দ্রগুলো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে রাজ্যের অন্যান্য অংশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে কি না তা জানানো হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

তিতলিতে হতাহতের পরিমাণ ‘শূন্য’ রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে উড়িষ্যা সরকার।

জরুরি উদ্ধার তৎপরতার জন্য সব জেলার কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে; নিচু এলাকায় বসবাসরতদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে ৩০০ মোটরচালিত নৌকা, জাতীয় দুর্যোগ মোকবিলা বাহিনী, উড়িষ্যার জরুরি দুর্যোগ তৎপরতা বাহিনী ও দমকল কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিশেষ সহকারী ত্রাণ কমিশনার পিকে মহাপাত্র।

ভারতের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, স্থলভাগে ওঠার পর তিতলি কিছুটা বাঁক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হতে হতে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে আসতে পারে।