বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্র-পরিচালিত স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্পের যাত্রা শুরু হচ্ছে ভারতে

পঞ্চাশ কোটি ভারতীয়কে চিকিৎসা সুবিধা দিতে রাষ্ট্র-পরিচালিত বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারতের’ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2018, 06:26 AM
Updated : 23 Sept 2018, 06:26 AM

রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাচি থেকে সরকারি অর্থায়নে দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যবীমার  বৃহৎ এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

এর আগে চলতি বছর ১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লাল কেল্লা থেকে মোদী এ স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ১০ কোটিরও বেশি পরিবারকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্বের বৃহত্তম এ স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পটি নেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত সরকার। এর মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার ৫ লাখ রুপির স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা পাবে।

উদ্বোধনের পর প্রথমদিনেই ভারতের প্রায় ৩২টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে।

ঝাড়খন্ডের যেসব পরিবার এ আয়ুষ্মান ভারত বীমা প্রকল্পের সুবিধা পাবে, তাদের কাছে এরই মধ্যে মোদীর লেখা দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বৃহৎ এ প্রকল্পের গুরুত্ব ও সুবিধাগুলোর রূপরেখা তুলে ধরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

যে ১০ কোটি ৭৪ লাখ পরিবার এ বীমা সুবিধা পাবে পর্যায়ক্রমে তাদের কাছেও এ চিঠি যাবে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি ছবিও থাকছে, জানিয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা।

“প্রধানমন্ত্রী ২৩ সেপ্টেম্বর এ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেও পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিনে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই এ স্বাস্থ্যবীমা চালু হবে,” বলেছেন প্রকল্পটির মূল স্থপতি এনআইটিআই আয়োগ মেম্বার ড. বিনোদ পাল।  

যেসব রাজ্যে এ বীমা কার্যকর হতে যাচ্ছে, সেখানে ব্যয়ের ৬০ শতাংশ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, বাকিটা যাবে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে।

উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পের নাম প্রথমে রাখা হয়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য অভিযান’; পরে তা বদলে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ করা হয়।

দরিদ্র, গ্রামীণ দুস্থ পরিবার ও শহরের কিছু কিছু শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা প্রকল্পটির আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। চার ক্যাটাগরির দু্স্থ পরিবারের সদস্যরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ বীমা সুবিধা পাবে।

কেউই যাতে বাদ না পড়ে, সেজন্য পরিবারগুলোর সদস্য সংখ্যা কিংবা বয়সের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ রাখা হয়নি।

সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র কিংবা রেশন কার্ডের যে কোনোটি থাকলেই চলবে। অন্যান্য রাজ্যে চালু হলেও তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যা, দিল্লি, কেরালা ও পাঞ্জাব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একইসঙ্গে প্রকল্পটি চালু করতে সম্মত হয়নি।