গণেশের ‘আপত্তিকর’ বিজ্ঞাপন, ক্ষমা চাইল টেক্সাসের রিপাবলিকানরা

হাতির মাথাওয়ালা দেবতা গণেশের একটি বিজ্ঞাপন দিয়ে ডেমোক্রেটদের ঘায়েল করতে চাইলেও উল্টো তা নিয়ে বিপদে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2018, 05:14 AM
Updated : 22 Sept 2018, 05:14 AM

‘আপত্তিকর’ বিজ্ঞাপনটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর টেক্সাসের ফোর্ট বেন্ড কাউন্টির রিপাবলিকানরা হিন্দুদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এক উৎসবকে উপলক্ষ করে টেক্সাসের এ রিপাবলিকান পার্টি ইউনিট স্থানীয় খবরের কাগজে ওই বিজ্ঞাপনটি দেয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।  

বিজ্ঞাপনে গণেশের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশের গুণগান গেয়ে ভোটারদের উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক বার্তাও ছুড়ে দেয় তারা। বলে, “তুমি কার উপাসনা করবে, গাধা নাকি হাতির?”

ডেমোক্রেটদের প্রতীক গাধার তুলনায় নিজেদের প্রতীক হাতিকে ‘অধিক যোগ্য’ বোঝানোর পাশাপাশি হিন্দুদের মন জয়ের উদ্দেশ্যে ফোর্ট বেন্ড কাউন্টির রিপাবলিকান পার্টি এ কৌশলের আশ্রয় নিলেও, শেষ পর্যন্ত তা বুমেরাং হয়।

হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন (এইচএএফ) ওই বিজ্ঞাপনটিকে ‘সমস্যাযুক্ত’ অভিহিত করে রিপাবলিকানদের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাবি করে।

“হিন্দুদের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসবের আগে তাদের কাছে পৌঁছাতে ফোর্ট বেন্ড কাউন্টির গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির (রিপাবলিকান পার্টি) চেষ্টাকে সাধুবাদ জানালেও এই বিজ্ঞাপন- ভগবান গণেশকে নিয়ে হিন্দুদের ভক্তিকে জড়িয়ে তার শরীরের পশু আকৃতিকে অবলম্বন করে রাজনৈতিক দল বেছে নেওয়ার যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা সমস্যাযুক্ত ও আপত্তিকর,” আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন এইচএএফের বোর্ড সদস্য ঋষি ভুতাদা।

টুইটার এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অসংখ্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিতে রিপাবলিকান পার্টির প্রতি অনুরোধ করতে দেখা গেছে। 

তীব্র সমালোচনার মুখে ফোর্ট বেন্ড কাউন্টির রিপাবলিকান পার্টি দুঃখ প্রকাশ করে। বিজ্ঞাপনে ‘হিন্দুদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করা হয়নি’ বলেও মন্তব্য তাদের।

“বিজ্ঞাপনটি কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমরা। অবশ্যই, এটি আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না,” সাংবাদিকদের বলেন টেক্সাসের রিপাবলিকান ইউনিটটির চেয়ারম্যান জেসি জেটন।

পরে এইচএএফ-ও রিপাবলিকানদের ‘মাফ করে দেওয়ার’ কথা জানায়।

“হিন্দু এবং ফোর্ট বেন্ড কাউন্টির অন্য সম্প্রদায়ভুক্তদের কাছে পৌঁছাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল না করার কী পরিকল্পনা তারা নিয়েছে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে,” বলেন হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশনের ঋষি ভুতাদা।