কারামুক্ত হলেন নওয়াজ-মরিয়ম

ইসলামাবাদ হাই কোর্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ড স্থগিত করার কয়েক ঘণ্টা পরই মুক্তি পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2018, 04:30 PM
Updated : 20 Sept 2018, 04:54 AM

আদালতের নির্দেশে বুধবার সন্ধ্যায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে তাদের সঙ্গে মরিয়মের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফদারকেও মুক্তি দেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার দুপুরে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট তাদের কারাদণ্ড স্থগিত করে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। নওয়াজ শরিফের আপিলের শুনানি করে আদালত এ আদেশ দেয়।

এদিন সন্ধ্যায় তাদের মুক্তির পর পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের বর্তমান প্রধান শাহবাজ শরিফসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাদেরকে আনতে আদিয়ালা কারাগারে যান।

পিএমএন-এল এর অনেক কর্মী-সমর্থকও এ সময় কারাগারের বাইরে জড়ো হন।  নওয়াজকে নিয়ে গাড়ি বহর কারাগার থেকে বের হলে সমর্থকরা গোলাপের পাপড়ি ছিটিয়ে তাদের বরণ করেন।

কারাগার থেকে নওয়াজ পরিবার নূর খান বিমানঘাঁটিতে যান এবং সেখান থেকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে লাহোর রওয়ানা হন।

লন্ডনে চারটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে গত ৬ জুলাই পাকিস্তানের একটি আদালত নওয়াজকে ১০ বছর ও তার মেয়ে মরিয়মকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

এর এক সপ্তাহের মাথায় নওয়াজ ও তার মেয়ে লন্ডন থেকে ফিরলে ১৩ জুলাই বিমানবন্দর থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো।

নওয়াজ বন্দি থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর নওয়াজকে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

প্যারলের সময় শেষ হওয়ার পর তারা আবার কারাগারে ফিরে যান।

অ্যাকাউন্টেবিলিটি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে নওয়াজের আইনজীবীদের করা আপিলের মধ্যেই আদালত তাদেরকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ও বিচারপতি মিয়াঁগুল হাসান আওরঙ্গজেব বেঞ্চ বুধবার তাদের আপিল আবেদন গ্রহণ করেন এবং আপিল শুনানির পর চূড়ান্ত রায় ‍না আসা পর্যন্ত তাদের দণ্ড স্থগিতের নির্দেশ দেন।

আপিল আবেদন গ্রহণ করে দণ্ড স্থগিতের পর নওয়াজ, মরিয়ম ও তার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাফদারের জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে এবং তাদের পাঁচ লাখ রুপি জামানত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।