শুক্রবার তাকে নওয়াজ শরিফের লাহোরের বাড়ি ‘জতি উমরা’তে সমাহিত করা হয়। সেখানে নওয়াজ শরিফের বাবা এবং ভাই আব্বাস শরিফের সমাধি আছে বলে জানানো হয়েছে ‘দ্য ডন’ পত্রিকার খবরে।
কুলসুম-নওয়াজ দম্পতির দুই ছেলে হাসান ও হুসাইন নওয়াজকে ফেরারি আসামি ঘোষণা করার কারণে তারা পাকিস্তানে উপস্থিত হতে পারেননি।
গলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার কুলসুম নওয়াজের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে একটি উড়োজাহাজে করে লাহোরে নেওয়া হয় তার মৃতদেহ ।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানবন্দরে হামজা শাহবাজসহ পরিবারের সদস্যরা কুলসুমের মৃতদেহ গ্রহণ করেন।পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তা ‘জতি উমরায়’ নেওয়া হয়।
স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় লাহোরের শরিফ মেডিকেল সিটি প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শ্বশুরের পাশে কুলসুমকে কবর দেওয়া হয়।
তার দুই ছেলে হাসান ও হুসাইন মায়ের মৃতদেহের সঙ্গে পাকিস্তানে যেতে না পারায় লন্ডনে জানাজার আয়োজন করা হয়।
জানাজায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন। এ দম্পতির মেয়ে আসমাও লন্ডনে বসাবাস করছেন।
এদিকে, স্ত্রীর মৃত্যুর পর পাঞ্জাব সরকার নওয়াজ, তার মেয়ে মরিয়ম এবং জামাতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মুহাম্মদ সফদারকে আদিয়াল কারাগার থেকে প্রথমে ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারলে মুক্তি দেয়। পরে তাদের প্যারলের মেয়াদ বাড়িয়ে পাঁচ দিন (১২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর) করা হয়েছেন বল জানায় দৈনিক ডন।