নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম এবং জামাতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাফদারকেও প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করা কুলসুম মঙ্গলবার লন্ডনের একটি হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তার গলায় ক্যান্সার হয়েছিল।
কুলসুমের মৃতদেহ লন্ডন থেকে লাহোরে আনা হবে। শরিফ পরিবারের বাসভবন ‘জাতি উমরাহ’ তে কুলসুমের দাফন কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানায় পাকিস্তানের দৈনিক ডন।
দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ড পাওয়া নওয়াজ এবং তার মেয়ে ও জামাতা রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।
কুলসুমের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পাঞ্জাব সরকার তাদের ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারলে মুক্তি দিলে বুধবার ভোররাতে রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি থেকে একটি উড়োজাহাজে করে লাহোরে নিজ বাসভবনে আসে নওয়াজ ও তার পরিবার।
তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো বাসভবনের চারপাশ ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর সভাপতি শাহবাজ শরিফ পাঞ্জাব সরকারের কাছে তার ভাই এবং ভাইয়ের মেয়ে ও জামাতাকে পাঁচ দিনের জন্য প্যারলে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
কিন্তু পাঞ্জাব সরকার মাত্র ১২ ঘণ্টার জন্য তাদের প্যারল মুঞ্জর করেছে বলে জানান পিএমএল-এন মুখপাত্র মারিয়াম আওরঙ্গজেব।
তিনি বলেন, “শুক্রবার লাহোরে বেগম কুলসুমের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে। আমাদের আশা সরকার ওই সময় পর্যন্ত তাদের প্যারল মঞ্জুর করবে।”
কুসলুমের মৃতদেহ আনতে শাহবাজ বুধবার লন্ডন রওয়ানা হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তবে নওয়াজ-কুলসুম দম্পতির দুই ছেলে হাসান এবং হুসাইন লন্ডন থেকে পাকিস্তান আসবেন কিনা সে বিষয়ে এখন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকেও প্যারলের সময় বড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, সম্পূর্ণ মানবিক কারণে নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারকে বেগম কুলসুমের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।
এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কুলসুম নওয়াজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তার মৃতদেহ লন্ডন থেকে পাকিস্তানে আনার এবং প্যারল সংক্রান্ত বিষয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।