বুধবারের ওই হামলায় প্রথমে ৪৮ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার তা সংশোধন করে ৩৪ জনে নামিয়ে এনেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় কিছু মৃতদেহ দুইবার গণনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।
আহতের সংখ্যাও সংশোধন করা হয়েছে। আগে ৫৬ জন আহতের কথা বলা হলেও পরে ৬৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম কাবুলের শিয়া হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকার ওই কোচিং সেন্টারটিতে নিয়মিত ক্লাস চলার সময়ে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হেঁটে সেখানে প্রবেশ করে এবং শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায়।
নিহতদের মধে বেশিরভাগই তরুণ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে মাবৌদ একাডেমি নামের ওই কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হামলাকারী কোচিং সেন্টারটির পেছনের দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে শতাধিক শিক্ষার্থী যেখানে অবস্থান করছিলেন সেই ক্লাসরুমটিতে পৌঁছেছিল।
বৃহস্পতিবার নিহত শিক্ষার্থীদের জানাজা ও দাফন হওয়ার কথা রয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয় বলে জানিয়েছে তালেবান।
আফগানিস্তানে সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রায়ই হাজারা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হামলায় বেসামরিক, সৈন্য ও পুলিশ সদস্যসহ শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।