তাদের অভিযোগ, কাবুলের কারাগারে তালেবান বন্দিদেরকে সাহায্যের যে শর্ত রেডক্রসকে দেওয়া হয়েছিল তা পূরণে সংস্থাটি ব্যর্থ হয়েছে।
‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস’ (আইসিআরসি) বন্দিদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা সেবা দিত। কিন্তু সংস্থাটির সাত কর্মীকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর আইসিআরসি গত বছর আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম অনেকটাই গুটিয়ে নেয়।
এখন রেডক্রস কর্মীদেরকে ‘সেফ প্যাসেজ’ না দেওয়ার এ তালেবান ঘোষণায় আইসিআরসি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র আন্দ্রেয়া কাত্তা প্রেতা বিবিসি’কে বলেন, এ ঘোষণার পর আইসিআরসি তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ করছে যাতে রেডক্রসের মানবিক কার্যক্রম চালু রাখার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কোনো সমাধানে পৌঁছানো যায়।
তালেবানের পক্ষ থেকে সোমবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজধানী কাবুলের পুল-ই-চারখি কারাগারে বন্দি অনেক তালেবান যোদ্ধার স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তাদের যাই হোক না কেন তার জন্য আইসিআরসি দায়ী থাকবে। কারাগারের পরিবেশের উন্নতির দাবিতে শত শত তালেবান বন্দি অনশন করছে।
আইসিআরসি যুদ্ধে আহত সব পক্ষকেই মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে এবং নিরপেক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা দেয়।
অতীতে আইসিআরসি থেকে তালেবান যোদ্ধাদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল।
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়ায় এবং লড়াইরত সব পক্ষের যোদ্ধাদের মৃতদেহ সৎকারে সাহায্য করতে আফগানিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আইসিআরসি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গত ৩০ বছর ধরে রেডক্রস আফগানিস্তানে কাজ করছে। দেশটিতে তাদের এক হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে।
কিন্তু কর্মীরা খুন হতে থাকায় সংস্থাটি গতবছর অক্টোবরে আফগানিস্তানে তাদের দুইটি কার্যালয় বন্ধ করে দেয় এবং তৃতীয় আরেকটির কার্যক্রম কমিয়ে আনে।
তালেবান ও ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হামলা বাড়ার কারণে কর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আরো কয়েকটি দাতব্য সংস্থা আফগানিস্তানে তাদের কার্যক্রম অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছে।