ওই অনুপ্রবেশকারী গাড়ি নিয়ে জোর করে প্রবেশের পর হেঁটে বাড়ির ভিতর ঢুকে ভাংচুর চালিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
শনিবার সকালের এ ঘটনার সময় কাশ্মিরভিত্তিক রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওই দুই নেতা জম্মু শহরের বাড়িটিতে ছিলেন না। তারা ভারতের সর্বোচ্চ জেড-প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ওই অনুপ্রবেশকারীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হয়েছ্নে। ওই অনুপ্রবেশকারীর কাছে একটি পরিচয় পত্র পেয়েছে জম্মু পুলিশ, তাতে তার নাম মুরাদ আলী শাহ্ এবং বাড়ি কাশ্মিরের সীমান্তবর্তী জেলা পুঞ্চে বলে জানা গেছে।
এই ব্যক্তি একটি কালো মাহিন্দ্রা এক্সইউভি গাড়ি সজোরে চালিয়ে বাড়িটির সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করার পর বেপরোয়াভাবে চালিয়ে বাড়ির ভিতরের বাগানে পৌঁছে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানিয়েছে পিটিআই।
“তার কাছ কোনো অস্ত্র ছিল না। এটি শুধুমাত্র ভিআইপি এলাকায় জোর করে প্রবেশের একটি ঘটনা। তবে সে বাড়ির লবিতে ঢুকে ভাংচুর চালিয়েছে ও সিআরপিএফের ওপর হামলা করেছে,” বলেছেন জম্মুর শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা এসডি জামওয়াল।
তবে কোন পরিস্থিতিতে সিআরপিএফ জোয়ানরা ওই ব্যক্তিকে হত্যা করেছে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
জম্মুর পুলিশ কর্মকর্তা বিবেক গুপ্ত জানিয়েছেন, ঘরে প্রবেশের আগে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে ওই ব্যক্তির ধস্তাধস্তি হয়েছে এবং তাতে ওই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
ঘটনার পরে ওই অনুপ্রবেশকারীর পিতা নিরাপত্তা বাহিনীর সমালোচনা করে তার পুত্র হত্যার কারণ জানতে চেয়েছেন।
তিনি বলেছেন,“তাকে কেন হত্যা করা হলো আমি জানতে চাই। সে গেইট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় নিরাপত্তা রক্ষীরা কই ছিল? কেন তারা তাকে গ্রেপ্তার করল না?”
জম্মু শহরের বানতালাব এলাকায় মুরাদের বাবার একটি বন্দুকের দোকান আছে।
মুরাদ ফারুক আব্দুল্লাহর বাড়িতে ভাংচুর চালিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে জম্মুর বাতিন্দি এলাকার ওই বাড়ির একটি ঘরে একটি ভাঙা তেপায়া টেবিল, একটি কাঠের দরজার ভাঙা অংশ ও মেঝেতে ফুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সিআরপিএফের জওয়ানরা বাড়িটির শয়নকক্ষের প্রবেশ পথে ওই ব্যক্তিতে গুলি করে বলে পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে পিটিআই।
ওমর আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ওই অনুপ্রবেশকারী সামনের দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়ে বাড়ির আপার লবিতে চলে গিয়েছিল বলে প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে ধারণা পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা এসপি ভায়িদ।
ঘটনার সময় শ্রীনগর থেকে নির্বাচিত লোক সভার সদস্য ফারুক আব্দুল্লাহ পার্লামেন্টের অধিবেশনের জন্য নয়া দিল্লিতে অবস্থান করছিলেন।