মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় শিশুসহ এক ডজনেরও বেশি লোক ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, খবর এনডিটিভির।
রাতেই ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), পুলিশ ও দমকল বাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
এ ঘটনায় নির্মাণাধীণ ওই স্থাপনার মালিকসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দমকলের প্রধান কর্মকর্তা অরুণ কুমার সিংয়ের বরাতে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ঘটনার সমসয় নির্মাণাধীন ভবনটিতে অন্তত ১২ জন শ্রমিক ছিলেন এবং তারা সবাই আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী শাহ বেরি গ্রামের চারতলা ওই ভবনটিতে আঠারটি পরিবার বসবাস করতো।
এই দুই ভবনের পাশের আরেকটি ভবনের বাসিন্দা মিন্টু ডেক্কা বলেছেন, “যখন বিকট ‘ধাম’ শব্দটি শুনি তখন আমরা রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। ঘটনাটিকে ভূমিকম্প ভেবেছিলাম আমরা। দরজা খোলার পর সব জায়গায় খালি ধূলা আর ধূলা দেখতে পাই। আমার দৌঁড়ে বাইরে গিয়ে দেখি ওই ভবনের উপরের তলাগুলো ধসে পড়ছে।”
তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযানে ৪০০ এনডিআরএফ কর্মী নিয়োজিত আছেন। এদের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতার ভিড় সামলাতে আরও ৪০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে (স্থানীয় সময়) ভবন দুটি ধসে পড়লেও খবর দেওয়ার প্রায় এক ঘন্টা পরে আসে পুলিশ।
রাত সোয়া ১টার দিকে চার তলার ভবনের অবশিষ্টাংশ থেকে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এর ছয় ঘন্টা পর ভোর সোয়া ৭টায় আরেক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নারী রয়েছেন।
ধ্বংসস্তূপের ভিতরে কেউ আটকা পড়ে আছেন কি না তা নিশ্চিত হতে এনডিআরএফ প্রশিক্ষিত কুকুর, সেন্সর ও ক্যামেরা ব্যবহার করছে। ক্রেন দিয়ে ধসে পড়া ভবনের অংশ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।