এবার ঝাড়খণ্ডের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে একই পরিবারের ছয় সদস্যের মৃতদেহ।
হাজারিবাগ থেকে শনিবার উদ্ধার করা মৃতদেহগুলোর মধ্যে দু’টি ঝুলন্ত অবস্থায় এবং দু’টি মৃতদেহের গলা কাটা ছিল।
এছাড়া, একটি শিশুকে খুব সম্ভবত অ্যাপার্টমেন্টের ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং অন্য শিশুটিকে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে তিনটি ‘সুইসাইড নোট’ পেয়েছে। যার একটিতে লেখা, পরিবারটির ওপর ৫০ লাখ রুপি ঋণের বোঝা আছে। যা তাদের পক্ষে ফেরত দেওয়া সম্ভব না।
বাড়িতে একটি দলিলও পাওয়া গেছে, যেখানে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দেওয়া হয়েছে।
একটি ‘সুইসাইড নোটে’ ছেলে গলায় ফাঁস নিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছাদে নিয়ে নিচে ঠেলে ফেলে দেওয়ার কথা বলা আছে।
নিহত পরিবারটির কর্তার নাম নরেশ মহেশ্বর। বাকিরা তার স্ত্রী দুই সন্তান এবং বাবা-মা বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এটি হত্যা বা আত্মহত্যা দু’টোই হতে পারে। “আমরা দুই দিক থেকেই তদন্ত করছি। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।”
দিল্লির বুরারির ঘটনার কূলকিনারা হওয়ার আগেই প্রায় একই ধরনের আরেক ঘটনা ভারতের জনগণের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
গত ১ জুলাই বুরারির একটি বাড়ি থেকে এক পরিবারের ১১ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।