পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ সাংবাদিক রেহাম ছিলেন ইমরান খানের দ্বিতীয় স্ত্রী।২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাদের বিয়ে হয় এবং ১০ মাসের মাথায় অক্টোবরে এ জুটির বিচ্ছেদ ঘটে।
ইমরানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রেহাম আত্মজীবনী লেখা শুরু করেন।
‘রেহাম খান’ নামে ওই বইতে তিনি ইমরান খানের সঙ্গে তার ১০ মাসের বিবাহিত জীবনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
সেইসঙ্গে ইমরানের যৌনজীবন এবং ওই সময়ে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও বইতে অনেক কথা বলেছেন রেহাম।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে বইটি প্রকাশ পেয়েছে। মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনেও বইটি পাওয়া যাচ্ছে।
বইয়ের একটি অধ্যায়ে তিনি বিয়ের পর ইমরান খানের সঙ্গে তার একটি কথোপকথন হুবহু তুলে ধরেন।
নিজেদের বিবাহিত জীবন রক্ষা করতে ওই সব নারীরা ইমরানের সঙ্গে তাদের সন্তান থাকার বিষয়টি জনসম্মুখে আনছেন না বলেও দাবি করেন রেহাম।
বইতে কথোপকথন:
রেহাম: কি? তোমার পাঁচটি অবৈধ সন্তান আছে? তুমি কিভাবে জানো?
ইমরান: তাদের মায়েরা আমাকে বলেছে
রেহাম: তারা সবাই শ্বেতাঙ্গ?
ইমরান: না, কেউ কেউ ভারতীয়। সবচেয়ে বড়জনের বয়স এখন ৩৪।
এই বই লেখার কারণ ব্যাখ্যায় রেহাম বলেন, হয়তো তার অভিজ্ঞতা অন্যকারো কাজে লাগবে।
অবশ্য রেহামের এই বই নিয়ে গত মাসেই হইচই পড়ে গিয়েছিল।
জুনে রেহামের পাণ্ডুলিপির কিছু অংশ অনলাইনে ফাঁস হয়েছিল।যা নিয়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় উঠে।
পিটিআইর অনেক নেতা মনে করেন, অন্য দল বিশেষ করে অযোগ্য ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দলের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে ইমরানকে ছোট করতে তার সাবেক স্ত্রী রেহাম এই বই লিখেছেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইমরান খানের চরিত্রকে কলুষিত করতেই রেহাম অর্থের বিনিময়ে এ কাজ করেছেন বলে তখন অনেক নেতা টুইট করেছিলেন।