মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় আরও প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
নিহতদের মধ্যে পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের এক প্রার্থীও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এএনপি দলটি তালেবান বিরোধী রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত।
পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান কাজি জামিল জানিয়েছেন, এএনপির নির্বাচনী বৈঠক চলাকালে এক আত্মঘাতী বোমারু সেখানে বিস্ফোরণ ঘটায়।
আগামী ২৫ জুলাই পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আগে এটিই প্রথম বড় ধরনের হামলা। হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে এর দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী।
টেলিভিশনের লাইভ ফুটেজে স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশকে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এর আগে দেশটির ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময়ও তালেবান হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল এএনপি। ওই সময় এক আত্মঘাতী হামলায় এএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা বশির বিলৌর নিহত হয়েছিলেন। এবারের হামলায় তার ছেলে হারুন বিলৌর নিহত হয়েছেন, তিনি প্রাদেশিক আইন পরিষদের একজন প্রার্থী ছিলেন।
ডননিউজ জানিয়েছে, বিলৌর বৈঠকস্থলে আসার পরপরই এএনপির কর্মীদের ওই বৈঠকস্থলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। এতে বিলৌর গুরুতর আহত হওয়ার পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানেই তিনি মারা যান।
হামলায় প্রাথমিকভাবে ১৩ জন নিহত হলেও রাত পেরোনের আগেই মৃতের সংখ্যা ২০ জনে গিয়ে দাঁড়ায়।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর তালেবানবিরোধী অভিযানে এএনপি সমর্থন জানিয়েছে, এই ভিত্তিতে দলটিকে লক্ষ্যস্থল করেছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। ২০১৩ সালের নির্বাচনের সময় এএনপির বিরুদ্ধে চালানো অধিকাংশ হামলার দায় স্বীকার করেছিলেন তালেবানের তৎকালীন প্রধান মোল্লা ফজলুল্লাহ। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এক ড্রোন হামলায় ফজলুল্লাহও নিহত হয়েছেন।