স্কুল বন্ধ করতে জুনিয়রকে খুন সিনিয়র শিক্ষার্থীর

স্কুল বন্ধ হোক এমন চাওয়া থেকে স্কুলের ওয়াশরুমে ক্লাশ নাইনের এক শিক্ষার্থীকে খুন করেছে ক্লাশ টেইনের এক শিক্ষার্থী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2018, 09:09 AM
Updated : 24 June 2018, 09:15 AM

শুক্রবার স্কুলের ওয়াশরুমে ক্লাশ নাইনের ওই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়; তার পেটে অন্তত ১০ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

রক্ত হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের ভাদোদারা (সাবেক বারোদা) শহরের একটি স্কুলে, খবর এনডিটিভির। ।

এ ঘটনায় পুলিশ ভাদোদারা থেকে ওই স্কুলের ক্লাশ টেইনের ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, হোমওয়ার্ক জমা না দেওয়ায় গ্রেপ্তার ছাত্রকে তিরস্কার করা হয়েছিল, এর প্রতিক্রিয়ায় স্কুল বন্ধ করতে জুনিয়রকে খুন করে সে।

ক্লাশ নাইনের ওই ছাত্রের লাশ পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল, ওয়াশরুমে দুই শিক্ষার্থীর মারামারির প্রেক্ষিতে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে।

পরে স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফুটেজে তাকে জুনিয়র ওই শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ওয়াশরুমে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

স্কুলের নিকটবর্তী একটি মন্দিরের কাছ থেকে পরিত্যক্ত একটি স্কুল ব্যাগও খুঁজে পায় পুলিশ। ওই ব্যাগে ধারালো অস্ত্র ও লঙ্কাগুঁড়া মেশানো পানির বোতল পাওয়া যায়।

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আর.এস. বাগোরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের পর খুনি ব্যাগটি সেখানে ফেলে যায় বলে সন্দেহ পুলিশের।

গ্রেপ্তার কিশোর ওই স্কুলটির নতুন ছাত্র ছিল। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সে স্কুলটিতে ভর্তি হয়েছিল। ভাদোদারায় সে তার মামার বাড়িতে থাকত।

তার বাবা-মা গুজরাটের আনন্দ টাউনে বাস করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত বছর ভারতের রাজধানী দিল্লির নিকটবর্তী গুরগাঁওয়েও একই ধরনের একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেপ্টেম্বরে ওই এলাকার একটি স্কুলের ওয়াশরুমের বাইরে গলা কাটা অবস্থায় এক শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় এক সিনিয়র শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যে স্কুল বন্ধ করতে ও পরীক্ষা স্থগিত করতে সাত বছর বয়সী ওই শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করেছিল।