সরকারের পতন, জম্মু ও কাশ্মিরে কেন্দ্রীয় শাসন জারি

ক্ষমতাসীন জোটের অংশীদার বিজেপি জোট ছাড়ার পর ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2018, 04:49 AM
Updated : 20 June 2018, 05:09 AM

মঙ্গলবার বিজেপির ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা।

এরপর বুধবার রাজ্যটিতে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, খবর এনডিটিভির।

এ নিয়ে ১৯৭৭ সালের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মিরে অষ্টমবারের মতো কেন্দ্রীয় শাসন জারি হল।   

এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল এনএন ভোরা রাজ্যটিতে কেন্দ্রীয় শাসন জারির জন্য প্রেসিডেন্ট কোবিন্দের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন, যার একটি কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠিয়েছিলেন।

এর আগে মেহবুবা মুফতির নেতৃত্বাধীন কাশ্মিরভিত্তিক পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সঙ্গে তিন বছর স্থায়ী জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় বিজেপি।

জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা রাম মাধব বলেন, “কাশ্মিরে পিডিপি সরকারকে আর সমর্থন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।”

অপরদিকে পদত্যাগের পর মেহবুবা বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মিরকে শত্রু এলাকা হিসেবে বিবেচনা করতে পারি না আমরা, আমাদের এজেন্ডা ছিল ক্ষত নিরাময় করা। আমরা সবসময় বলেছি শক্তি নির্ভর নিরাপত্তা নীতি জম্মু ও কাশ্মিরে কাজ করবে না, মিটমাটের পথই সমস্যা সমাধানের মূল চাবি।”   

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জম্মু ও কাশ্মিরের বিধানসভার ৮৯ আসনের মধ্যে পিডিপি ২৮ আসন ও বিজেপি ২৫টি আসন পায়। পরস্পর বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গী সত্বেও দলদুটি বিতর্কিত একটি জোট গঠনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। কিন্তু জোট সত্বেও দল দুটির মধ্যে রাজনৈতিক দূরত্ব রয়েই যায়।

সম্প্রতি রমজান উপলক্ষে জম্মু ও কাশ্মিরে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী’ অভিযানে বিরতির ঘোষণা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ঈদের পর ওই অস্ত্রবিরতির মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের দুই অংশীদারের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্য প্রকট হয়ে ওঠে। এরই এক পর্যায়ে জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয় বিজেপি।