রাজ্যের কোঝিকোদেরের এ ঘটনায় মৃতদের মধ্যে দুজন আপন ভাই, অপরজন এক নারী।
১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার কাম্পুং সুনগাই নিপাহ এলাকায় প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। ২০০৪ সালে বাংলাদেশেও ফলখেকো বাদুরের মাধ্যমে সংক্রমিত খেজুরের রস খেয়ে অনেকে এ রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আরও আট জন ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের কোঝিকোদে মেডিকেল কলেজের একটি বিশেষ ওয়ার্ডে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
“আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই যে তিন জন মারা গেছেন তাদের কারো না কারো সংস্পর্শে এসেছিলেন,” বলেছেন ডাঃ রীনা।
এসব ঘটনার পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কেরালায় একটি টিম পাঠিয়েছে। দেশটির জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিচালক টিমটির নেতৃত্ব দিবেন এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে কেরালা রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে. পি. নাদ্দা রোববার এক টুইটে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধানকে আক্রান্ত জেলাটি পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমণের লক্ষণগুলো হল শ্বাসকষ্ট, মস্তিস্কে প্রদাহ, জ্বর, মাথাব্যথা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, বিভ্রান্তভাব ও প্রলাপ বকা। আক্রান্ত রোগী সংক্রমণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গভীর কোমায় চলে যেতে পারেন।
এ পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো টীকা আবিষ্কৃত হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থা। আক্রান্ত রোগীদের ‘নিবিড় পরিচর্যা করাই’ একমাত্র চিকিৎসা বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ভাইরাসটি আক্রান্ত বাদুর, শুকর বা অন্য কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে ছড়ায়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি অত্যন্ত প্রাণঘাতী। আক্রান্তদের ৭০ শতাংশই মারা যান বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ কারণে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে গাছের নিচে পড়ে থাকা ফল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।