ভারতের কর্নাটক নির্বাচনে জয়ের পথে বিজেপি

ভারতে কর্নাটক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসকে বড় ব্যবধানে হারানোর পথে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2018, 12:50 PM
Updated : 15 May 2018, 02:53 PM

উত্তর ও পশ্চিমের রাজ্যগুলোতে বিজেপি নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার পর এখন দক্ষিণের এ রাজ্যে দলটির জয় ভারতে আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা আরো বাড়াবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

কর্নাটকে শনিবার বিধানসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর বুথফেরত জরিপেই কংগ্রেসের ধরাশায়ী হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। যদিও ভোট গণনার শুরুর দিকে বিজেপি দুইনম্বরে ছিল, কিন্তু গণনা যতই এগিয়েছে ততই চিত্রটা বদলে গেছে।

মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজেপি ২২৪ আসনের বিধানসভায় ১০৬ টি আসনে এগিয়ে আছে। কংগ্রেস ৭৮ টি আসনে এগিয়ে আছে। আর দেব গৌড়ার জনতা দল সেক্যুলার (জেডিএস) ৩৮ টি আসনে এবং অন্যরা ২ টি আসনে এগিয়ে।

কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই শিবিরই নির্বাচনে তারাই জিতছে বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করলেও বেশ কয়েকটি বুথফেরত জরিপে কোনো দলেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের আভাস না থাকায় ত্রিশঙ্কু বিধানসভার সম্ভাবনাও প্রতীয়মান হচ্ছে।

২২৪ আসনের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে কোনো দলকে অন্তত ১১৩ আসনে জিততে হবে। নাহলে সরকার গড়তে অন্যদের সঙ্গে জোট গড়তে হবে। এ পর্যন্ত পাওয়া ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।

এ পরিস্থিতিতে সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে জেডিএস এরই মধ্যে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। কংগ্রেসও তাদেরকে সমর্থন দিয়েছে। কংগ্রেসের সমর্থন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জেডিএস।

ওদিকে, বিজেপিও কোনোরকম ছাড় দিচ্ছে না। তারা এরই মধ্যে একক বৃহত্তম দল হিসাবে সরকার গঠনের জন্য সময় নিতে রাজ্য গভর্নরের কাছে ধর্না দিতে শুরু করেছে।

পরবর্তীতে কি হয় তা পুরোপুরি রাজ্য গভর্নরের ওপরই নির্ভর করছে।

কংগ্রেস-জেডিএস এরই মধ্যে সরকার গঠনের জন্য চুক্তিও করে ফেলায় তাদের সমালোচনা করেছে বিজেপি।

কংগ্রেস পেছনের দরজা দিয়ে কর্নাটকের ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছে বলে তারা অভিযোগ করেছে। কংগ্রেসের এ চেষ্টা কর্নাটকের মানুষ মেনে নেবে না বলেও সতর্ক করেছে বিজেপি।

এখন বিজেপি আর কংগ্রেস-জেডিএস টিমের মধ্যে কে প্রথম নিজেদের শক্তি প্রমাণ করে ক্ষমতায় আসবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার গভর্নরের।