‘রামের পুনর্জন্ম মোদীতে, অমিত শাহে লক্ষণ, আদিত্যনাথ হনুমান’

হিন্দু পুরাণের দেবতা রামচন্দ্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাঝে পুনর্জন্ম নিয়েছেন বলে মন্তব্য এসেছে উত্তর প্রদেশের এক বিজেপি সাংসদের কাছ থেকে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2018, 08:28 AM
Updated : 12 May 2018, 09:42 AM

শিগগিরই অমিত শাহ ও যোগী আদিত্যনাথকে সঙ্গে নিয়ে মোদী ভারতে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন অনুধাবন করতে পারবেন বলেও প্রত্যাশা  সুরেন্দ্র সিংয়ের।

শুক্রবার রাতে বালিয়াতে সাংবাদিকদের কাছে সুরেন্দ্র বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে রামের ভাই লক্ষণ এবং চাণক্যের সংমিশ্রণ অ্যাখ্যা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

চাণক্য মৌর্য সাম্রাজ্যের কিংবদন্তি শাসক চন্দ্রগুপ্তের উপদেষ্টা ছিলেন। 

“কি কাকতাল, সঙ্গে দেখুন ব্রহ্মচারী হনুমান হিসেবে যোগীজিও (আদিত্যনাথ) চলে এসেছেন। রাম, লক্ষণ ও হনুমানের এই দল ভারতে রামরাজ্যের স্বপ্ন অনুধাবন করতে পারবেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে এই রামরাজ্য আসন গাঁড়বে,” বলেন বালিয়ার এ বিতর্কিত বিধায়ক।

সুরেন্দ্র এবারই প্রথম ভারতের বর্তমান রাজনীতিকে হিন্দু পুরাণের সঙ্গে তুলনা দেননি। গত মাসেও তিনি পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে রাবণের বোন ‘সুর্পনখা’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছিলেন।

মমতার রাজ্য ধীরে ধীরে জম্মু ও কাশ্মিরে পরিণত হতে পারে বলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি।

গত রোববারও সুরেন্দ্র বলেছিলেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে ‘ধর্ম যুদ্ধ’, যেখানে ‘কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে সংস্কৃতির যুদ্ধ হবে’।

“পাণ্ডবদের কমান্ডার হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি অর্জুনের ভূমিকায় থাকবেন। কৌরবদের নেতৃত্ব দেবে কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টির মুলায়েম সিং যাদব ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের লালু প্রসাদের ভূমিকা থাকবে ধৃতরাষ্ট্রের,” গণতন্ত্রের ওই যুদ্ধে মোদীই জিতবেন বলেও ভবিষ্যদ্বাণী তার। 

ভারতজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় অভিভাবকদেরই দোষ দেখছেন এ বিজেপি সাংসদ। অভিভাবকদের উচিত হবে না ছেলে মেয়েদের অবাধে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ দেওয়া, গত সপ্তাহেই বলেছিলেন তিনি।   

সুরেন্দ্রর এই বিতর্কিত মন্তব্য এমন এক সময়ে আসে যখন কাশ্মিরের কাঠুয়ায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ ও নির্মম হত্যায় বিজেপি কর্মীদের যোগসাজশ এবং উত্তর প্রদেশের উন্নাও জেলায় ১৭ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণে বিজেপি সাংসদ কূলদীপ সিং সেঙ্গারের নামে অভিযোগ নিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় চলছে।

এর মধ্যেও কূলদীপের পক্ষ নিয়েছিলেন বালিয়ার এ বিধায়ক।  

“মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বলছি- কেউই তিন বাচ্চার মাকে ধর্ষণ করতে পারবে না। এটা সম্ভব নয়, এটা তার (কূলদীপ) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,” বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের দেওয়া এক ভিডিও ক্লিপে সুরেন্দ্রকে এমনটাই বলতে শোনা যায় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।