মোহাম্মদ রফিক নামের ওই ব্যক্তি ১৯৯৮ সালে তামিলনাডুর কোয়িমবাটোরের সিরিজ বোমা হামলার জেল খাটা আসামী বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বার্তা সংস্থা পিটিআই পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, কোয়িমবাটোরের কুনিয়ামুথুরে বসবাস করা রফিকের ও পরিবহন ঠিকাদার প্রকাশের মধ্যে আট মিনিটের ওই টেলিফোন কথোপকথনটি হয়েছিল।
১৯৯৮ সালের বোমা বিস্ফোরণ মামলার সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর রফিক কুনিয়ামুথুরে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ বলেছে, “ওই কথপোকথনে মূলত গাড়ির জন্য টাকা যোগানো নিয়েই কথা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ওই বিস্ফোরণ মামলার অভিযুক্তকে বলতে শোনা যায় ‘আমরা মোদিকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১৯৯৮ সালে আদভানি শহরে আসার সময়ও আমরাই বোমা পেতে রেখেছিলাম।’”
১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোয়িমবাটোরের ওই সিরিজ বোমা হামলায় ৫৮ জন নিহত ও কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়েছিল।
“আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা আছে। আমি শতাধিক গাড়ি ধ্বংস করেছি,” কথোপকথনের সময় রফিককে এমনটি বলতে শোনা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রেকর্ডকৃত এই কথোপকথনের বিষয়ে তদন্ত করতে এবং রফিক ও প্রকাশই ওই কথোপকথনে অংশ নিয়েছিলেন কি না তা যাচাই করতে একটি বিশেষ দল গঠন করেছে কোয়িমবাটোর পুলিশ।
ওই কথোপকথনের ভিত্তিতে রফিক ও প্রকাশ, দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক প্রেস রিলিজে জানিয়েছে পুলিশ।