ভারতে মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণ: অভিযুক্তদের খালাস দেওয়া বিচারকের পদত্যাগ

ভারতের হায়দ্রাবাদের মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় সব অভিযুক্তকে খালাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মামলার বিচারক পদত্যাগ করেছেন।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2018, 02:59 PM
Updated : 16 April 2018, 02:59 PM

গত ২০০৭ সালের ১৮ মে, মক্কা মসজিদে জুমার নামাজ চলাকালে বিস্ফোরণে নয় জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছিল।

দীর্ঘ ১১ বছর পর সোমবার বিকালে ওই মামলার রায় দেন বিচারক রবীন্দ্র রেড্ডি।

রায়ে তিনি বলেন, ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) অভিযুক্ত কারো অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি। প্রমাণের অভাবে সবাইকে খালাস দেওয়া হচ্ছে।

এর কয়েকঘণ্টা পর তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বলে জানায় এনডিটিভি।

এনআইএ  অভিযুক্তদের অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থ হলেও ওই বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী ডানপন্থি গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সাবেক সদস্য স্বামী অসীমানন্দ।

তিনি এ বিষয়ে লিখিত স্বীকারোক্তিও দিয়েছিলেন।

হায়দ্রাবাদের স্থানীয় পুলিশের তদন্তের পর মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তের পর সিবিআই চার্জশীট দাখিল করে।

২০১১ সালে সিবিআইয়ের কাছ থেকে মামলাটির দায়িত্বভার নিয়েছিল এনআইএ।

ওই মসজিদে হামলায় ঘটনায় আরএসএস-র ১০ সদস্য জড়িত বলে অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছিল। 

স্বামী আসীমানন্দ ছাড়াও দেবেন্দ্র গুপ্ত, লোকেশ শর্মা, ভারত মোহনলাল রাতেশ্বর ওরফে ভারত ভাই এবং রাজেন্দ্র চৌধুরি বিচারের মুখোমুখি হন।

বিচার চলাকালে অভিযুক্ত অপর দুজন সন্দীপ ভি ডাঙ্গে ও রামচন্দ্র কালসানগ্রা নিখোঁজ থাকেন এবং অপর অভিযুক্ত সুনিল যোশি মারা যান।

বিচারে মোট ২২৬ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য দেন এবং প্রায় ৪১১টি নথি প্রদর্শন করা হয়। 

বিচার চলাকালে স্বামী অসীমানন্দ ও ভারত মোহনলাল রাতেশ্বর জামিনে ছিলেন এবং অপর তিন জন হায়দ্রাবাদের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।

গত বছরের মার্চে অসীমানন্দকে আজমির বিস্ফোরণের মামলা থেকেও খালাস দেওয়া হয়েছিল।

সোমবার রায়ের পর হায়দ্রাবাদের আইনপ্রণেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এটি ‘কুচক্র’।