শনিবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ডোবু আ’চাকপেক এলাকায় গারো হিলস পুলিশ ও মেঘালয় স্পেশাল ফোর্স-১০ এর কমান্ডোরদের সঙ্গে তীব্র বন্দুক লড়াইয়ে সোহান নিহত হন বলে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
মেঘালয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাগুলো নিয়ে ‘সার্বভৌম গারোল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করতে ২০১০ সালে জিএনএলএ গঠিত হয়েছিল। মেঘলয় রাজ্য পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পকচারা আর সাংমা পুলিশ বাহিনী ত্যাগ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তারপর থেকে মেঘালয়ে সংঘটিত বহু হত্যা, অপহরণ, অগ্নিসংযোগ, বোমা বিস্ফোরণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য বাহিনীটিকে দায়ী করা হচ্ছে।
গত রোববার পূর্ব গারো পাহাড় এলাকায় এক বোমা বিস্ফোরণে মেঘালয় বিধানসভার আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস দলীয় প্রার্থী জোনাথন এন সাংমা ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ও দলীয় দুই কর্মীসহ নিহত হন। এক জনসভা থেকে ফেরার সময় তাদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে আগে থেকে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে চালানো এ হামলার জন্য জিএনএলএ-কে দায়ী করে মেঘালয় কর্তৃপক্ষ। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না যেতে ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর উদ্দেশেই হামলাটি চালানো হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
এ ঘটনার পর থেকে শিলং থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরের গারো পাহাড় এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান শুরু করে রাজ্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। সোহান এই এলাকায় তৎপর ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
গত বছরের ডিসেম্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মুখে সোহান বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে গিয়েছিলেন, এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল বলে দাবি এনডিটিভির।