আদালতের রায়ে দলীয় প্রধানের পদও হারাচ্ছেন নওয়াজ শরিফ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর পর এবার দলীয় প্রধানের পদে থাকার অধিকারও হারালেন নওয়াজ শরিফ।

>>রয়টার্স
Published : 21 Feb 2018, 04:46 PM
Updated : 22 Feb 2018, 04:00 AM

বুধবার পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের এক রায় তার এ পরিণতি ডেকে এনেছে।

নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর পরও তার দল ‘পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ’ (পিএমএল-এন) এর এমপি’দের যে বৈধ সংশোধনীর বলে তিনি দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন, আদালতের রায়ে তা উল্টে গেল।

সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ থেকে প্রধান বিচারপতি সাকিব নাসির বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি কাগজপত্র থেকে পিএমএল-এন এর প্রেসিডেন্ট হিসাবে নওয়াজ শরিফের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

“ফলে নওয়াজ শরিফ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন বা যেসব আদেশে অনুমোদন দিয়েছেন সেগুলো আর প্রযোজ্য নয় বলেই ধরা হবে।”

নওয়াজকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণার ছয়মাস পর সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দিল। পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি মামলার রায়ে গত বছর জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করেছিল।

আর এবারের ঘোষিত নতুন রায়ের ফলে পাকিস্তানে ৩ মার্চে অনুষ্ঠেয় সিনেট নির্বাচন অনিশ্চয়তায় পড়ল। এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল পিএমএল-এন এর প্রার্থীরা আর বহাল থাকতে পারবেন না। কারণ, তাদেরকে মনোনীত করেছিলেন নওয়াজ।

পিএমএল-এন প্রধানের পদ থেকে নওয়াজকে সরিয়ে দিতে বিরোধী দলগুলোর যে ১৭ জন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, তাদের একজনের আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী বলেছেন, “আদালতের রায়ে গত জুলাই থেকে নওয়াজের নেওয়া সব সিদ্ধান্তসহ নির্বাচনের জন্য তার সব মনোনয়নই অকার্যকর হয়ে গেছে।”

তবে তিনি বলেন, “প্রার্থীরা এখনও সিনেট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। দলীয় প্রার্থী হিসেবে নয়।”

নওয়াজের গড়া পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে (ন্যাশনাল এসেম্বলি) সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আগামী ৩ মার্চে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট নির্বাচনেও দলটি জয়ী হওয়ার আশায় আছে।

কারণ, পিএমএল-এন পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আবারও নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার পথ সুগম হবে।

এর আগে আরো দুই বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নওয়াজ কোনোবারই মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি।

১৯৯৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে এবং ১৯৯৩ সালে প্রেসিডেন্টের আদেশে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়।