নদী কোনো রাজ্যের নয়: রায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের

একাধিক রাজ্যের উপর প্রবাহমান কোনো নদীর উপর কোনো রাজ্যের একক মালিকানার দাবি খাটবে না বলে রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2018, 02:09 PM
Updated : 17 Feb 2018, 02:11 PM

কাবেরি নদীর জলবণ্টন নিয়ে কর্নাটক ও তামিলনাড়ু রাজ্যের বিবাদ মেটানোর এই রায়ে আদালত বলেছে, নদী হবে জাতীয় সম্পদ।

কাবেরির পানি নিয়ে কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর মধ্যে বিবাদ বহু দিনের; তা দাঙ্গা-হাঙ্গামায়ও রূপ নিয়েছিল।

ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের রায়ে বলা হয়, “অন্য কোনো রাজ্যকে বঞ্চিত করে কোনো নদীর উপর কোনো রাজ্য বিশেষ অধিকার দাবি করতে পারে না।”

এই রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে বিচারকরা অভিন্ন নদীর পানির অধিকার নিয়ে ‘হারমন ডকট্রিন’ থেকে কালে কালে ১৯৬৬ সালের ‘হেলসিংকি রুলস’ এবং ২০০৪ সালের ‘বার্লিন রুলস’- এ পরিবর্তিত হওয়ার উল্লেখ করেন বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কালের অ্যাটর্নি জেনারেল জাডসন হারমনের মত ছিল, যে নদীর যতটুকু যে দেশের উপর দিয়ে বইবে, তার পুরো অধিকার সেই দেশেরই থাকবে। এটি ‘হারমন ডকট্রিন’ নামে পরিচিত।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অনেকগুলো অভিন্ন নদী রয়েছে, যার জলবণ্টন নিয়েও রয়েছে সমস্যা।

গঙ্গার পানি বণ্টনে চুক্তি হলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি অর্ধ যুগ ধরে আটকে আছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে।

মমতার দাবি, বাংলাদেশকে পানি দিলে তার রাজ্য পানি সঙ্কটে পড়বে। আর যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় রাজ্যের অমতের কারণে কিছু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, জল বণ্টনের মানে এই নয় যে দুই রাজ্য সমান পানি পাবে, এটা বিবেচনা করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের চাহিদা ও অর্থনৈতিক সুবিধার উপর।

মানচিত্রে কাবেরি নদী

এই নীতি অনুসরণ করে কর্নাটক রাজ্যকে আরও ১৪.৭৫ টিএমসিএফটি জল দেওয়ার রায় দিয়েছে আদালত। তামিলনাড়ু এতদিন পেয়ে আসছিল ১৯২ টিএমসিএফটি জল, এখন থেকে তা কমে তারা পাবে ১৭৭.২৫ টিএমসিএফটি।

কাবেরি নদীটি কর্নাটক থেকে তামিলনাড়ুর উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।