রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের অস্ত্রবিরতির ঘোষণা

যাদের হামলার পর মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সেনাবাহিনীর দমন অভিযান চলছে, সেই আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) সাময়িক অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2017, 08:02 PM
Updated : 9 Sept 2017, 08:22 PM

সেনা অভিযানে সৃষ্ট মানবিক সংকট থেকে উত্তরণে ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলোকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার জন্য রোববার থেকে তারা এক মাসের অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বলে শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

গত ২৪ অগাস্ট রাতে একযোগে রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা করে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এরপর রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে বাংলাদেশ অভিমুখে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। এরইমধ্যে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ।

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে, জ্বালিয়ে দিচ্ছে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি।

অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়ে এআরএসএ এক বিবৃতিতে এই মানবিক সংকটের শিকার সবাইকে ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে সহায়তা দিতে ত্রাণ সহায়তাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

তাদের এই অস্ত্রবিরতির ঘোষণা চলমান পরিস্থিতির উপর কোনো প্রভাব ফেলবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে মনে করছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে সেনাবাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে তাতে উল্লেখ করার মতো কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি এই গোষ্ঠী। গত দুই সপ্তাহে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডজন ডজন গ্রাম ধ্বংস করা হয়েছে এবং সহিংসতার মুখে প্রাণ বাঁচাতে এখনও হাজার হাজার মানুষ বাংলাদেশের পথে রয়েছে।

ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিও অস্ত্র রেখে সব ক্ষতিগ্রস্তের কাছে ত্রাণ যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এআরএসএ।

রাখাইনে সেনা অভিযান নিয়ে মিয়ানমার সরকার বলছে, সন্ত্রাসী সংগঠন এআরএসএ’র বিরুদ্ধে নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে তারা।