রাখাইনে সবাইকে রক্ষার চেষ্টা করছি: সু চি

মিয়ানমারের সহিংসতাপূর্ণ রাজ্য রাখাইনে প্রত্যেককে রক্ষায় সরকার সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন দেশটির নেতা অং সান সুচি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2017, 12:06 PM
Updated : 7 Sept 2017, 03:57 PM

দুই সপ্তাহে ওই রাজ্যে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমের বাংলাদেশমুখী ঢল অব্যাহত থাকার মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেন বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।

গত ২৪ অগাস্ট রাখাইনে পুলিশ চেকপোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার পর সেখানে পাল্টা সেনা অভিযানের মুখে দেশ ছাড়তে থাকা রোহিঙ্গা মুসলিমদের কোনো উল্লেখ করেননি শান্তিতে নোবেলজয়ী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এই নেতা।

জাতিসংঘের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত এই দফায় প্রায় এক লাখ ৪৬ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কোনো উল্লেখ না করায় পশ্চিমা বিশ্বে সু চির কড়া সমালোচনা হচ্ছে; এমনকি তার নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার দাবিও কেউ কেউ তুলছেন বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।

রয়টার্স টেলিভিশনের ভারতীয় অংশীদার এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে সু চি বলেন, “আমাদের নাগরিকদের দেখভাল আমাদের করতে হবে, যারা আমাদের দেশে আছে তাদের প্রত্যেকের দেখভাল আমাদের করতে হবে, তারা আমাদের নাগরিক হোক বা নাই হোক।”

ইয়াংগুনে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর চলাকালে বৃহস্পতিবার এই সাক্ষাৎকারে নিজেদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চি বলেন, “তবু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যাতে সবাই আইনের সুরক্ষা পায়।”

বুধবারও এক বিবৃতিতে সু চি দাবি করেন, রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ‘সন্ত্রাসীরা’ প্রচুর অসত্য তথ্য ও ভুয়া ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে।

কিন্তু তিনি হাজার হাজার ভীত সন্ত্রস্ত রোহিঙ্গার পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে মোটেই মুখ খুলছেন না।

রাখাইনে চলমান সহিংসতার জন্য মুসলিম বিশ্বের সমালোচনার মুখে রয়েছেন সু চি। মিয়ানমারে জাতিগত নির্মূলের ঝুঁকি রয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে পারে বলে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও সতর্ক করে দিয়েছেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে যাতে কোনো নিষেধাজ্ঞা না আসে সে জন্য এরই মধ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে মিয়ানমার জানিয়েছে।

সু চি বলছেন, রাখাইনে জটিল পরিস্থিতি চলছে গত কয়েক দশক ধরে। এর সমাধানের জন্য মাত্র ১৮ মাস ধরে ক্ষমতায় থাকা তার সরকারের উপর একক দায় দেওয়া কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।